কলেজ ছাত্রী ধর্ষন আত্মহত্যার প্ররোচনা ও চুরির দায়ে প্রতারক প্রেমিকের যাবজ্জীবন কারাদন্ড কলেজ ছাত্রী ধর্ষন আত্মহত্যার প্ররোচনা ও চুরির দায়ে প্রতারক প্রেমিকের যাবজ্জীবন কারাদন্ড - ajkerparibartan.com
কলেজ ছাত্রী ধর্ষন আত্মহত্যার প্ররোচনা ও চুরির দায়ে প্রতারক প্রেমিকের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

3:17 pm , December 13, 2020

 

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ সরকারী সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ শিক্ষার্থীকে ধর্ষনের দায়ে প্রতারক প্রেমিককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়াও শিক্ষার্থীকে আত্মহত্যার প্ররোচনার দায়ে ১০ বছর এবং ছাত্রীর স্বর্নালংকার ও মোবাইল চুরির দায়ে আরো পাঁচ বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। একই ধর্ষনের দায়ে কারাদন্ড ছাড়াও ৫০ হাজার জরিমানা অনাদায়ে আরো ২ বছরের, আত্মহত্যার প্ররোচনার দায়ে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক বছর এবং চুরির দায়ের ১০ হাজার হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। গতকাল রোববার বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু শামীম আজাদ এ কারাদন্ড দিয়েছেন। দন্ডিত প্রতারক প্রেমিক হলো-নারায়নগঞ্জের বাসিন্দা সেলিম আলমের ছেলে সায়েম আলম। রায় ঘোষনার সময় সে আদালতে উপস্থিত ছিল। ঘটনার শিকার নাঈমা ইব্রাহিম ঈশী (২০) গ্রামীন ব্যাংক কর্মকর্তা ও নগরীর গোরস্থান রোডের রজনীগন্ধ্যা ভবনের ভাড়াটিয়া ইব্রাহিম খানের একমাত্র কন্যা। সে হাতেম আলী কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলো।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, ফেসবুকের মাধ্যমে ঈশীর সাথে সায়েমের পরিচয় হয়। পরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে উভয়ের কথাবার্তা হতো। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। সেই সুত্রে ২০১৬ সালের ১০ আগষ্ট সায়েম ঢাকা থেকে লঞযোগে নগরীতে আসে। পরে স্বামী স্ত্রীর পরিচয়ে ফলপট্টির আবাসিক ফেয়ার ষ্টার হোটেলের ৩০৯ নং কক্ষ ভাড়া নেয়। সেখানে ঈশীকে ধর্ষন করে সায়েম। পরে তার সাথে থাকা মোবাইল ফোন ও গলার স্বর্নের চেইন নিয়ে ঈশীকে কক্ষে রেখে পালিয়ে যায়। প্রেমিকের প্রতারনা সহ্য করতে না পেরে হোটেল কক্ষে ফ্যানের সাথে ওড়না দিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে কক্ষের জানালার গ্রীল কেটে প্রবেশ করে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ঈশীর বাবা ইব্রাহিম খলিল খান বাদী হয়ে ধর্ষক ও হত্যাকারী মোঃ সায়েম, হোটেল মালিক আঃ রব বিশ^াস ও হোটেল পরিচালক (ম্যানেজার) মজিবর আকনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মাকসুদুর রহমান মুরাদ ঢাকার মগবাজার এলাকা থেকে মোবাইল সায়েমকে গ্রেফতার করে। পরে সে ঈশীকে ধর্ষন ও মোবাইল এবং স্বর্নালংকার চুরির কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেয়। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আরাফাত রহমান হাসান ২০১৭ সালের ৩১ মার্চ মোঃ সায়েম আলম ও হোটেল ম্যানেজার মজিবর আকনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জসিট দেয়। বিচারক মামলার ১১ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহন শেষে রায় দেন।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT