2:43 pm , December 10, 2020
ভোলা অফিস ॥ বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যে দিয়ে ভোলা মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভোলা জেলার আয়োজনে ভোলা জেলা প্রশাসক কার্যলয়ের সামনে থেকে একটি র্যালি বের করা হয়।
র্যালিটি মুক্তিযুদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধা সন্তানদের অংশ গ্রহনে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয় এসে শেষ হয়। পরে বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।এসময় উপস্থিত ছিলেন- ভোলা জেলপ্রশাসক মো: মাসুদ আলম ছিদ্দিক,ভোলা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মমিন টুলু,পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার পিপিএম, ভোলা সদর উপজেলার চেয়ারম্যান মো: মোশারেফ হোসেন প্রমুখ। উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকহানাদার মুক্ত হয় ভোলা। এপ্রিলের শুরুর দিকে ভোলা ওয়াপদা ভবনে ক্যাম্প করে অবস্থান নেয় পাক হানাদার বাহিনী। ওই ভবনের ২টি কক্ষকে টর্চার সেল বানিয়ে নিরীহ মানুষ কে ধরে এনে নির্যাতনের পর হত্যা করা হত। ওয়াপদা ভবনের পাশেই রয়েছে বধ্যভূমি যেখানে শতশত মুক্তিপাগল মানুষকে হত্যা করে মাটি চাপা দেয়া হয়ে ছিল।ভোলার দেয়ুলা,বাংলাবাজার এবং দৌলতখানের গুপ্তেরগঞ্জ বাজারে সমুখ যুদ্ধে পরাজিত হওয়ার পর পাকসেনাদের মনোবল ভেঙ্গে পরে। ভোলার মুক্তিযোদ্ধারা চারদিক থেকে ঘিরে শহর দখলের জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকে।এমন সময়ে ১০ডিসেম্বর ভোররাতে ভোলা লঞ্চ ঘাট থেকে লঞ্চ যোগে পাকবাহিনী ভোলা থেকে পালিয়ে যেতে শুরু করে । মুক্তি যোদ্ধারা তাদের আটকানোর চেষ্টা করেও আধুনিক অস্ত্রের কাছে ব্যর্থ হয়। পরে মিত্র বাহিনীকে খবর দেওয়া হলে চাঁদপুরের কাছে মিত্র বাহিনীর বিমান হামলায় পাকসেনাদের বহনকারী লঞ্চটি ডুবে যায়। পাকবাহিনী পালিয়ে যাওয়ার পর ১০ ডিসেম্বর সকালে কালেক্টরেট ভবনের সামনে পতাকা উড়িয়ে ভোলাকে হানাদার মুক্ত ঘোষণা করে মুক্তিযোদ্দারা। এভাবেই ভোলা হানাদার মুক্ত হয়। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হয় ভোলা জেলা।