৫ বছর পর আদালতের রায়ে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে এক শিক্ষার্থী ৫ বছর পর আদালতের রায়ে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে এক শিক্ষার্থী - ajkerparibartan.com
৫ বছর পর আদালতের রায়ে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে এক শিক্ষার্থী

3:13 pm , November 17, 2020

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের (সদর গালর্স) ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ৫ বছর পর রায় পেলো একঅভিভাবক। বরিশাল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেনির ভর্তি পরীক্ষায় এই জালিয়াতির অভিযোগে ২০১৫ সালের ৯ সেপ্টেম্বর মামলাটি দায়ের করেন ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয় সৈয়দা তাছনিয়া বিনতে আবদুল্লাহ’র বাবা জেলা জজ আদালতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এসএম আবদুল্লাহ। সম্প্রতি বরিশাল সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারক কাজী কামরুল ইসলাম এই রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে আদালত ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৮ ছাত্রীকে একটি প্রশ্নের ভুল উত্তর দেয়ার পরও তাদের পূর্ণ নম্বর দেয়ার পর্যবেক্ষণ দেন। একই সাথে বাদীর মেয়ে সৈয়দা তাছনিয়া বিনতে আবদুল্লাহ বর্তমানে যে শ্রেণিতে অধ্যয়নরত সেই শ্রেণীতে তাকে ভর্তি করার নির্দেশ দেন আদালত। সৈয়দা তাছনিয়া বিনতে আবদুল্লাহ বর্তমানে সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজে ৮ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ভর্তি কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক, ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব ও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, ভর্তি কমিটির সদস্য সরকারি বিএম কলেজের অধ্যক্ষ, বরিশালের সিভিল সার্জন এবং শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীকে আদালতের এই আদেশ বাস্তবায়নের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, তার মেয়ে সৈয়দা তাছনিয়া বিনতে আবদুল্লাহ ২০১৫ সালে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায় প্রভাতী শাখায় উত্তীর্ণ হওয়া সত্ত্বেও তাকে অনুত্তীর্ণ দেখানো হয়। কয়েকজন ভর্তি পরীক্ষার্থী বাদীর মেয়ের চেয়ে কম নম্বর পাওয়ার পরও কর্তৃপক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের উত্তীর্ণ দেখায়। মামলার প্রেক্ষিতে আদালত সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রভাতী শাখার উত্তীর্ণ ১২০ জনের খাতা প্রশ্ন ও উত্তরপত্র তলব করেন। পরে আদালত উত্তরপত্রগুলো পর্যালোচনা করেন। আদালতের পর্যালোচনায় দেখা যায়, বাদীর মেয়ের প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৩৮.৭৫। ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৮ জন ছাত্রী নাফিসা এশা, আয়শা সিদ্দিকা আফিয়া, সাজিয়া ইসলাম দিপা, জাকিয়া আক্তার, হুমায়রা ইসলাম, তানিশা মেহজাবিন, রায়তা রহমান এবং নাবিলা ইসলাম রাজিতা প্রশ্নপত্রের ১৯ নম্বর প্রশ্নের উত্তর ভুল দেয়ার পরও তাদের ওই প্রশ্নের বিপরীতে পূর্ণমান ৪ নম্বর করে দেয়া হয়। উপরোক্ত ৮ পরীক্ষার্থী ৪ নম্বর করে কম পেলে তাদের প্রাপ্ত নম্বর বাদীর মেয়ের থেকে কম হয়। এরপরও বাদীর মেয়ে সৈয়দা তাছনিয়া বিনতে আবদুল্লাহকে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি থেকে বঞ্চিত করা হয়।
রায়ে সৈয়দা তাছনিয়া বিনতে আবদুল্লাহকে ২০১৫ সালে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির প্রভাতী শাখার ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ঘোষণা করেন আদালত। একই সাথে সৈয়দা তাছনিয়া বিনতে আবদুল্লাহ বর্তমানে যে শ্রেণিতে অধ্যায়নরত তাকে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সেই শ্রেণিতে (অষ্টম) ভর্তি করার জন্য ভর্তি কমিটিকে নির্দেশ দেন আদালত। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বাদী অ্যাডভোকেট এসএম আবদুল্লাহ বলেন, দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর ন্যায় বিচার পেয়েছেন। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীকে অনুত্তীর্ণ দেখিয়ে আর যাতে কোনো শিক্ষার্থীকে বঞ্চিত করা না হয়। ভর্তি অনিয়মের কারণে আর যাতে কোনো মায়ের বা শিক্ষার্থীর চোখে অশ্রু না ঝড়ে। এই রায় যেন দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT