কর্মক্ষেত্রে কোন অস্বাভাবিকতা ছিল না সহকারি কমিশনার আনিসুলের কর্মক্ষেত্রে কোন অস্বাভাবিকতা ছিল না সহকারি কমিশনার আনিসুলের - ajkerparibartan.com
কর্মক্ষেত্রে কোন অস্বাভাবিকতা ছিল না সহকারি কমিশনার আনিসুলের

2:50 pm , November 10, 2020

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ফাইলপত্র, টেলিফোন, চেয়ার টেবিল সব আগের মতোই আছে, তবে কক্ষটি ফাঁকা। শুধু নেই সেখানে মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সহকারি কমিশনার মোহাম্মদ আনিসুল করিম। শনিবার সর্বশেষ কর্মস্থলে এসেছিলেন তিনি। কর্মস্থলে সুস্থ ও স্বাভাবিক এমন সৎ কর্মকর্তার মৃত্যুতে শোকে স্তব্ধ পুরো মহানগর পুলিশের সদস্যরা। একজন নিষ্ঠাবান, সৎ ও দায়িত্বশীল কর্মকর্তা হিসেব পরিচিতি ছিলো তার। সহকর্মীদের সাথে ছিলো ভালো সম্পর্ক। তার অস্বাভাবিক মৃত্যু কোনো ভাবেই মানতে পারছেন না তারা। আনিসুল করিমকে হত্যাকান্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছেন তার সহকর্মীরা। নগরীর শীতলাখোলা সংলগ্ন মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সহকারি কমিশনার মোহাম্মদ আনিসুল করিম ৭ নভেম্বর শেষ অফিস করে নিজের চিকিৎসার জন্য ১০ দিনের ছুটিতে পরিবারসহ ৮ নভেম্বর ঢাকায় যান। ৯ নভেম্বর সোমবার রাজধানীর মাইন্ড কেয়ার হাসপাতালে কর্মীদের মারধরে মৃত্যু হয় আনিসুল করিমের।
মঙ্গলবার দুপুরে ট্রাফিক বিভাগের কার্যালয়ে গেলে আনিসুল করিমের মৃত্যুতে পুরো কার্যালয়ই শোকে মূহ্যমান দেখা যায়। অল্প কয়েকদিনে সততার কারণে সকলের কাছের মানুষ হয়ে উঠেছিলেন তিনি।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, ২০১৩ সালের ১৫ জানুয়ারি পুলিশ বিভাগে যোগ দেন তিনি। এরপর গত ১৫ সেপ্টেম্বর বরিশাল মহানগর পুলিশে যোগদান করেই ট্রাফিক বিভাগের সহকারি কমিশনারের দায়িত্ব পান তিনি। সাংসারিক জীবনে এক সন্তানের জনক তিনি এবং গৃহিনী স্ত্রী নিয়ে তিনি নগরীর বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন।
ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আব্দুর রহিম জানান, সৎ এবং নিষ্ঠাবান অফিসার ছিলেন আনিসুল করিম স্যার। তার মৃত্যুটা এখনো মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। ঢাকায় যাওয়ার আগের দিনও অফিস করেছিলেন। সুস্থ মানুষটিকে এভাবে হত্যা কেন করা হলো তা বুঝতে পারছি না।
উপ-পুলিশ কমিশনার জাকির হোসেন মজুমদার বলেন, কর্মস্থলে সুস্থ এবং স্বাভাবিক ছিলো আনিসুল। তার অস্বাভাবিক কোনো আচরণ আমার চোখে পড়েনি। কর্মঠ এই পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যুতে আমরা গভীর ভাবে শোকাহত। তাছাড়া আনিসুলকে যে হত্যা করা হয়েছে তা সিসি টিভি ফুটেজে স্পষ্ট। তাই হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি। পুলিশ কমিশনার মোঃ শাহাবুদ্দিন খান বলেন, সহকারি কমিশনার সদ্য প্রয়াত আনিসুল করিমকে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই আমরা।
উল্লেখ্য, সোমবার ৯ নভেম্বর ঢাকার মাইন্ড কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয় আনিসুল করিমকে। ভর্তির সময় কর্মকর্তা কর্মচারীরা তাকে মারধর করলে মৃত্যু হয় তার।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT