আড়তদারদের ছলচাতুরীতে দক্ষিনাঞ্চলে পেয়াঁজ গোল আলুর দাম উর্ধ্বমূখী আড়তদারদের ছলচাতুরীতে দক্ষিনাঞ্চলে পেয়াঁজ গোল আলুর দাম উর্ধ্বমূখী - ajkerparibartan.com
আড়তদারদের ছলচাতুরীতে দক্ষিনাঞ্চলে পেয়াঁজ গোল আলুর দাম উর্ধ্বমূখী

3:22 pm , October 21, 2020

বিশেষ প্রতিবেদক ॥ গত দুদিনের আড়তদারদের নানামুখি ছলচাতুরীতে দক্ষিনাঞ্চলে পেয়াঁজের দাম কেজিপ্রতি ১০ টাকা এবং গোল আলুর দাম ৫-৭ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। গতকাল বুধবার দক্ষিণাঞ্চলের খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেয়াঁজ ৯০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। আলুর কেজি আবার ৪৫ টাকা। সরকার সর্বশেষ মঙ্গলবার আলুর সর্বোচ্চ খুচরা দাম ৪০ টাকা বেঁধে দিয়েছে। কিন্তু গতকাল নগরীর পাইকারী বাজারে তা বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকা করে। তবে বেশীরভাগ আড়তদার কোন ক্রেতাকে রশিদ দিতে চায়নি। ফলে খুচরা বাজারে আবারো আলুর দাম ৫০ টাকায় ওঠার আশংকা করছেন ভোক্তাগন। গত সপ্তাহখানেক আড়তে গোল আলু ৩৫ টাকা কেজি বিক্রি হলেও মঙ্গলবার দাম বেঁেধ দেয়ার পরেই বাজারে দাম বাড়ানোর প্রবনতা লক্ষ্য করা গেছে। তবে সরবারহে কোন ঘাটতি নেই। আড়তদারদের দাবী তারা কোল্ড স্টোর থেকে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা দরে আলু কিনে পরিবহন ও শ্রমিক মজুরী দেয়ার পরে কোন অববস্থাতেই ৪০ টাকার নিচে গোল আলু বিক্রি করতে পারবেন না। অথচ সরকার সর্বশেষ হিমাগারে প্রতিকেজি গোল আলুর দাম ২৫ টাকার স্থলে ২৭ টাকা নির্ধারন করেছেন। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে সরকার নির্ধারিত দামে আলু বিক্রি করছেনা হিমাগার মালিকরা। এ দিকে গত দিন পনের যাবত দক্ষিণাঞ্চলের পাইকারী বাজারে দেশী পেয়াঁজ প্রতিকেজি ৭০ টাকা করে বিক্রি হয়েছে। গোল আলুর হাত ধরে গতকাল সকালেই তার ঝাঁঝ বাড়তে শুরু করে। বেলা বাড়ার সাথে পেয়াঁজের কেজি ৮০ টাকায় উঠে যায়। যার প্রভাব পড়ে খুচরা বাজারেও। এদিকে টিসিবি এখনো নগররীতে ৫টি পিকআপে করে সর্বমোট দুই টন পেয়াঁজ বিক্রি করছে। যা এক কেজি করে দু হাজার মানুষের কাছে বিক্রি করা সম্ভব। এছাড়া কয়েকটি জেলা সদরে ১টি করে পিকআপে পেয়াজ ছাড়াও চিনি, ভোজ্যতেল ও মুসুর ডাল বিক্রি করছে রাষ্ট্রীয় বানিজ্য সংস্থাটি। গত কিছুদিন ধরেই শুধু ‘বিপুল পরিমান পেয়াঁজ আসার পথে রয়েছে’ বলে টিসিবি’র স্থানীয় দায়িত্বশীল কর্মকর্তাগন বলে আসছেন। কিন্তু অত্যাশকীয় এ পণ্যের সরবারহ গত এক মাসেও বাড়াতে পারেনি টিসিবি। তবে দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও এখনো গোল আলু বিক্রির বিষয়ে কিছু জানেন না টিসিবি’র দায়িত্বশীল মহল। বানিজ্য মন্ত্রী ইতোমধ্যে ২৫ টাকা কেজি দরে টিসিবি’র মাধ্যমে গোল আলু বিক্রির কথা ঘোষনা দিলেও কবে তা বাস্তব রূপ লাভ করবে সে বিষয়ে কেউ কিছু বলতে পারছে না। চালের দাম গত এক মাসে কেজি প্রতি ৫ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধির কমার কোন লক্ষন নেই। ভোজ্য তেলের দামও গত পনের দিনে লিটার প্রতি ৫ টাকা বাড়ার পরে তা আর নামেনি।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT