সন্তান হত্যায় মা ও তার দুই পরকিয়া প্রেমিকের যাবজ্জীবন কারাদন্ড সন্তান হত্যায় মা ও তার দুই পরকিয়া প্রেমিকের যাবজ্জীবন কারাদন্ড - ajkerparibartan.com
সন্তান হত্যায় মা ও তার দুই পরকিয়া প্রেমিকের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

2:58 pm , October 12, 2020

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ সন্তানকে হত্যার দায়ে মা ও তার দুই পরকিয়া প্রেমিককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়াও প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার র জননিরাপত্তা বিঘœকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কেএম শহীদ আহম্মেদ এ রায় ঘোষণা করেন। দন্ডিতরা হলো- মা কনা বেগম, পরকিয়া প্রেমিক শাহীন নলি ও সহযোগি রুহুল নলি। কনা বেগম মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম রতনপুরের বাসিন্দা লকিতুল্লাহর দুয়ারীর স্ত্রী ও একই এলাকার মতলেব নলি কন্যা। পরকীয়া প্রেমিক শাহিন নলি স্ত্রী কনার চাচাতো ভাই একই এলাকার বাসিন্দা জাকির নলির ছেলে। অপর পরকিয়া প্রেমিক রুহুল নলি সর্ম্পকে কনার চাচাতো ভাই এবং একই এলাকার নুরুল ইসলাম নলির ছেলে। রায় ঘোষণার সময় কনা বেগম ও রুহুল আমিন ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিল। তবে শাহীন নলি অনুপস্থিত ছিল।
রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী পিপি লস্কর নুরুল হক জানান, ২০০০ সালের মার্চ মাসে লকিতুল্লাহ দুয়ারীর সাথে একই এলাকার কনা বেগমের বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের ১১ বছর বয়সের ছেলে রনি ও ৩ বছর বয়সের মেয়ে সুমাইয়া রয়েছে। কাজের প্রয়োজনে লকিতুল্লাহ চট্টগ্রাম গেলে স্ত্রী কনা বেগম তার চাচাতো ভাই শাহীন নলির সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পরে। পরে তারা বিভিন্ন সময় শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। তাদের অনৈতিক সম্পর্ক একই বাড়ির রুহুল আমিন নলি দেখে ফেলে। পরে কনার সাথে রুহুল অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে ওই তিনজন একই সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে। এ ঘটনা ছেলে রনি তার বাবাকে ফোন করে জানিয়ে শাহীনকে তাদের বাসায় আসতে বারণ করতে বলে। এছাড়া রনি তার মায়ের কর্মকান্ড আত্মীয় স্বজনদের জানিয়ে দেয়। এতে কনা বেগম ক্ষিপ্ত হয়। ঘটনার দিন ২০১৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারী শাহীন নলি ও রুহুল আমিন প্রেমিকা কনার বাসায় যায়। সেখানে তারা পর্যায়ক্রমে কনা বেগমের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক করে। ছেলে রনি ঘরে প্রবেশ করে শাহীন ও মা কনাকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পায়। তখন রনি চিৎকার করে বিষয়টি তার বাবাকে জানিয়ে দেয়ার কথা বললে কনা বেগম ছেলেকে খাটের উপর চেপে ধরে। এ সময় শাহীন রশি দিয়ে রনির গলায় ফাঁস দেয় এবং রুহুল আমিন তার হাত পা চেপে ধরে। পরে রনি নিস্তেজ হয়ে পড়লে শাহীন ও রুহুল আমিন দ্রুত ঘর থেকে বের হয়ে যায়। পরে কনা বেগম ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে রনিকে সাপে কেটেছে বলে অপপ্রচার করে। এ ঘটনায় ২০১৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী মেহেন্দীগঞ্জ থানা নিহতের বাবা লকিতুল্লাহ দুয়ারী অজ্ঞাতনামাদের অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করে। ২০১৪ সালের ১৯ জুন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই নজরুল ইসলাম ঘটানার সাথে সম্পৃক্ত কনা বেগমসহ ৩ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশীট জমা দেন। ট্রাইব্যুনাল ২৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে গতকাল ওই রায় ঘোষণা করেন।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT