শেবাচিম হাসপাতালে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট শেবাচিম হাসপাতালে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট - ajkerparibartan.com
শেবাচিম হাসপাতালে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট

4:24 pm , August 18, 2020

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুপেয় পানির তীব্র সংকটে রোগী ও চিকিৎসা কর্মীরা যথেষ্ট বিপাকে পড়েছেন। হাসপাতাল ও কলেজ ক্যাম্পাসের একমাত্র ওভারহেড ট্যাংকে পানি থাকছেনা। ফলে পুরো হাসপাতাল ও কলেজ এলাকায় পানির হাহাকার ইদানিং নিয়মিত ঘটনায় পরিনত হয়েছে। উপরন্তু ওই উচ্চ জলাধারের পানি লালচে ও স্বাদে লবনাক্ত হওয়ায় তা ব্যবহার উপযোগী নয়। গত পনের দিনের বেশীদিন সময় ধরে এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলেও পরিস্থিতি উত্তরনে তেমন কোন পদক্ষেপও নেই।
পানির সংকটের কথা স্বীকার করে গণপূর্ত বিভাগের শেবাচিম ইউনিটের উপÑসহকারী প্রকৌশলী সেলিম তালুকদার সাংবাদিকদের জানিেেছন, কলেজ ও হাসপাতালে সর্বাক্ষণিক পানি সরবরাহের জন্য দুটি গভীর নলকূপের মাধ্যমে পানি উত্তোলন করে রিজাভার্রে মজুদ করা হয়। তারমধ্যে চিকিৎসকদের আবাসিক এলাকায় একটি নলকুপ হতে কিছুদিন যাবত লবনাক্ত ও লালচে পানি উঠছে। যা ব্যবহার উপযোগী নয়। ওই নলকুপটি আর মেরামতযোগ্যও নয়। নতুন নলকুপ স্থাপন ছাড়া পানি সংকটের আপাতত কোন সমাধান হবেনাবলেও জানান তিনি। হাসপাতালটির সার্জারী-মহিলা ইউনিটে গত ১৩ আগস্ট ভর্তি হওয়া এক রোগীর স্বজন মনিরা বেগম (৩৭) জানান, প্রথমদিন থেকে পানির সমস্যায় ভুগছেন তারা। গোসল কিংবা পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য যে পানি পাওয়া যায় সেটাও নোংরা ও লবনাক্ত।
হাসপাতালে কর্মরত কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক মো. নাজমূল হুদা জানান, রোববার রাত থেকে পানি সরবরাহ বন্ধ থাকায় হাজার হাজার রোগী ও তাদের স্বজনরা অবর্ননীয় দুর্দশার মধ্যে পড়েন। সোমবার দুপুরে কিছু সময়ের জন্য পানি সরবরাহ করা হলেও তা লালচে নোংরা এবং লবনযুক্ত। ওই পানি খাওয়া এবং ব্যবহার উপযোগী নয়।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের পরিচালক ডা: বাকির হোসেন বলেন, গত ১৫ দিন ধরে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা চলছে । তার কক্ষের পানিও লবনাক্ত এবং নোংরা। তিনি মঙ্গলবারও হাসপাতালের ৩য়, ৪র্থ, ৫ম তলা ঘুরে একই চিত্র দেখেছেন। পরিচালক বলেন, গতপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে হাসপাতালের পানি সংকট দূরীকরনের জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে। অনতিবিলম্বে ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে অবস্থা ভয়াবহ নূপ নিতে পারে বলে আশংকা হাসপাতাল পরিচালকের।
গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জেরাল্ড অলিভার গুডা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, হাসপাতালের গভীর নলকুপ দুটি ৬২ বছরের পুরনো। তারমধ্যে একটিতে সমস্যা দেখা দেয়ায় সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে নতুন আরেকটি গভীর নলকূপ স্থাপনের জন্য ৬২ লাখ টাকার একটি প্রাক্কলন চেয়ে মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। বরাদ্দ বা বরাদ্দের প্রতিশ্রুত পাওয়া গেলে দ্রুত সময়ের মধ্যে হাসপাতালে নতুন নলকূপ স্থাপন করা হবে বলেও জানান তিনি।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT