2:38 pm , August 13, 2020
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ভোলা জেলা সদর উপজেলা ভেদুরিয়া ব্যাংগের হাটের মৃত্যু মজিদ আলির পুত্র বৃদ্ধ সেকেন্দার আলি (৭৫)কে রাস্তা থেকে কুড়িয়ে পাওয়া মানুষটির হাসপাতালে ভর্তি করা সহ চিকিৎসা সহ পরবর্তী তার নিজস্ব স্থানে ফিরিয়ে দেয়া পর্যন্ত সকল ধরনের খরচের দায় দায়ীত্ব নিজ কাধে নিয়ে বরিশাল মডেল কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরুল ইসলাম আরো একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করার মাধ্যমে এই সমাজের মানুষের চোখের বিবেককে জাগ্রত করে স্মরন করে দিল ভূপেন হাজারিকার গাওয়া সেই বিক্ষত কালজয়ী গান মানুষ মানুষের জন্য এই গানটিকে বাস্তবে রুপ দেয়ার চেষ্টা করছেন। জানা গেছে আজ বৃহস্পতিবার (১৩ই) আগস্ট বেলা সোয়া ২টার দিকে বরিশাল মডেল থানায় কল করে বৃদ্ধ এক অসহায় রাস্তায় পড়ে কান্নকাটি করছে এ সংবাদ পেয়ে ওসি নুরুল ইসলাম দ্রুত এস আই রিয়াজুল ইসলাম সহ কয়েকজন ফোর্স পাঠিয়ে দেন। এস আই রিয়াজুল ইসলাম নগরীর বিএম কলেজ এ্যাভিনিয় লেচু শাহ্ সড়কে সন্ধান করে বৃদ্ধ সেকেন্দার আলি (৭৫)কে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। এসময় সেকেন্দার আলিকে ওসি নুরুল ইসলাম তার পরিচয় জানার জন্য কয়েকবার কথা বলেন, এসময় বৃদ্ধ সেকেন্দার তার বাড়ির ঠিকানার তথ্য দেন। এক প্রর্যায়ে তার বাড়িকে কে আছে জানতে চাইলে ছেলের নাম নজরুল বলেই দু’চোখ দিয়ে অঝড়ে কান্নাকাটি করতে থাকে। তিনি সব কথা অকপটে বললেও যখনই ছেলের কথা জিঞ্জাসা করা হয় তখনই দু’ চোখ দিয়ে ঝড়তে থাকে পানি। সেকেন্দারের এই কান্না দেখে পুলিশ পিকাপের সামনে অন্য সকল পুলিশ অফিসার ও পুলিশ সদস্যরা মর্মাহত হয়ে পড়ে। সেকেন্দারকে উদ্ধান করার সময় একটি পলিথিনের ভিতর খুচরা কয়েন টাকা সহ বিভিন্ন কাগজের সব মিলিয়ে ২ হাজার ৫শত টাকা পাওয়া যায় তার কাছে। পড়ে বৃদ্ধ সেকেন্দার আলিকে শুলিশ অফিসার দিয়ে তার শারিরীক সুস্থতার জন্য শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করার ব্যবস্থা করেন। এসময় ওসি নুরুল ইসলাম প্রতিবেদক শামীম আহমেদকে বলেন,আগে মানুষটিকে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করি। তারপর এর বাড়ির সন্ধান করে দেখা হবে আর যতদিন না এর নিদিষ্ট একটি স্থানে তুলে না দেওয়া পর্যন্ত এর যাবতীয় দেখাশুনা ব্যায়ভার আল্লাহ সহায়হলে আমি বহন করব। ওসি নুরুল ইসলাম আরো বলেন তার কাছে যেহেতু অনেকগুলো টাকা পাওয়া গেছে মনে হয় তিনি ভিক্ষা ভিত্তি পেশায় জড়িত থাকতে পারে বলে প্রাথমিক ধারনা করা হচ্ছে। অন্যদিকে ছেলের কথা জিঞ্জাসা করা হলে কান্নাকাটি করে সেখানে মনে হয় ছেলে সহ তার পরিবার বরিশালে এনে ফেলে দিয়ে যেতে পারে। যাক আগে একে স্বাভাবিক সুস্থ করি পরে তারপর নাহয় একে কিভাবে বাচিয়ে রাখা যায় সে চিন্তা ভাবনা করব। ইতি পূর্বেও তিনি এই বিশ্ব মহামারী করোনাকালে বেশ কয়েকজনকে এধরনের সেবা দিয়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়ে প্রশংসিত হয়েছে সেই সাথে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ শাহাবুদ্দিন খানের সুন্দর আদর্শ ও নির্দেশের বানি পালন করে বরিশালের পুলিশ সদস্যদের ভাবমূর্তি উজ্জল করেছে। অন্যদিকে তিনি বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকার কাউনিয়া থানা কর্মরত থাকাকালীন সে এলাকার আইন শৃঙ্খলা উন্নয়নের চিহ্নিহ রেখে এসেছেন। এখন বর্তমানে মডেল থানায় যোগদান করে সকল অফিসারদের সঙ্গি সাথী বানিয়ে সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে সক্ষমতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন।