করোনা সংক্রমনের মহামারীর ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চে হাজারো যাত্রীদের যাত্রা করোনা সংক্রমনের মহামারীর ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চে হাজারো যাত্রীদের যাত্রা - ajkerparibartan.com
করোনা সংক্রমনের মহামারীর ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চে হাজারো যাত্রীদের যাত্রা

3:35 pm , August 6, 2020

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ করোনা সংক্রমন হওয়ার ঝুকি নিয়ে ঈদে নৌ-পথে বাড়ী ফেরা হাজারো যাত্রীদের একইভাবে যাত্রা শুরু করেছে কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে। তাই বরিশাল-নৌ-বন্দরে ভীড় করছে ঢাকাগামী যাত্রীরা। করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও যাত্রীদের মাঝে এ নিয়ে কোন হেলদেল নেই। একেকজন অপরজনকে ঘেষে বন্দর পার হয়ে উঠছেন ঢাকাগামী লঞ্চে। যাত্রী চাপের কারনে বন্দর ও লঞ্চ কর্তৃপক্ষ শুধু সচেতনতার বানী প্রচার করে চলেছেন। কিন্তু তাতে কর্নপাত না করেই লঞ্চের ডেকে এমনকি ছাদেও গাদাগাদি করে আসন ও শষ্যা করে যাত্রা করছেন যাত্রীরা। করোনা সংক্রমনের শংকাসহ বৈরি আবহাওয়া এবং দুর্ঘটনার আতংক উপেক্ষা করে ঢাকা যাচ্ছেন যাত্রীরা। করোনা সংক্রমনে মহামারীর ঝুকি কিংবা দুর্ঘটনা থেকে যাত্রীদের রক্ষায় এগিয়ে আসছেন না বন্দর, লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ পাওয়া গেছে বিআইডব্লিউটিএ‘র যুগ্ম পরিচালক (বন্দর ও পরিবহন) আজমল হুদা মিঠু সরকারের উদাসীনতায় লঞ্চের ছাদে পর্যন্ত যাত্রী পরিবহন করেছে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। আর লঞ্চ কর্র্তৃপক্ষ বলছেন যাত্রীদের স্বাস্থ্য বিধি মানতে চাচ্ছে না। এতে তাদের কিছু করার নেই। আর গতকাল বৃহস্পতিবার যাত্রীর চাপ থাকায় সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে বেশীরভাগ লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে দেখা গেছে নৌ-বন্দরে যাত্রীদের ভীর। বন্দরে থাকা সরাসরি ঢাকাগামী আট লঞ্চেও ভীড়। কোন লঞ্চে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোন বালাই নেই। তিন ফুট দুরত্ব শুধু বানী হয়েই প্রচার হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে তিন ইঞ্চি পরিমান দুরত্বও নেই যাত্রীদের মাঝে। মাস্ক পরিধান বাধ্যতামুলক হলেও শুধু গুটি কয়েক যাত্রীদের কাছে মাস্ক দেখা গেছে। সিংহভাগ যাত্রীর মাস্ক নাক ও মুখে নয়, ছিল থুতনিতে। নৌ-বন্দর এলাকায় থাকা বেসিনে কেউ হাত ধুয়ে নিজেদের ও অপর যাত্রীদের নিরাপত্তা রক্ষায় এগিয়ে যায়নি। কোন লঞ্চের প্রবেশ পথে যাত্রীদের সুরক্ষায় কোন ব্যবস্থা রাখেনি। করোনা সংক্রমন প্রতিরোধে যাত্রীদের সুরক্ষায় কোন কঠোর পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি জেলা প্রশাসন, বন্দর ও লঞ্চ কর্তৃপক্ষের কোন কর্মকর্তাকে। লঞ্চের সাধারন যাত্রীদের জন্য ডেকে যাত্রী উপচে পড়ে উঠেছে ছাদে। সেখানে যাত্রী নেয়া নিষিদ্ধ থাকলেও অবলীলায় পুরো ছাদে যাত্রীরা শষ্যা করেছেন ঘেষাঘেষি করে। এসব প্রতিরোধে যাদের এগিয়ে আসার কথা সেই বন্দর কিংবা বিআইডব্লিউটিএর কোন কর্মকর্তাকে দেখা যায়নি। যার কারনে যেভাবে পারছেন লঞ্চে উঠছেন। লঞ্চ কর্তৃপক্ষও সেইভাবে যাত্রীদের ঠেসে যাত্রী করেছেন ঢাকার উদ্দেশ্যে।
এ বিষয়ে নৌ বন্দর কর্মকর্তা আজমল হুদা মিঠু বলেন, স্বাস্থ্য বিধি মানতে বিআইডব্ল্উিটিএ এর পক্ষ থেকে সতর্কতা মূলক মাইকিং করা হচ্ছে। এছাড়া যাত্রীদের হাত ধোয়ার জন্য বন্দরে একাধিক অস্থায়ী বেসিন স্থাপন করা হয়েছে। ব্যবস্থা করা হয়েছে জীবানু নাশক স্প্রের। লঞ্চে স্বাস্থ্য বিধি পালনে লঞ্চ মালিকদের সব ধরনের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। তা মানা হচ্ছে কিনা সে দিকেও তদারকি করা হচ্ছে। যাত্রীদের চাপে বাস্তবতার দিক থেকে স্বাস্থ্য বিধি শতভাগ মানা সম্ভব হচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT