করোনা ভাইরাস নিয়ে আতংক ও গুজব ছড়ানোর চেয়ে সচেতনতার হার কম করোনা ভাইরাস নিয়ে আতংক ও গুজব ছড়ানোর চেয়ে সচেতনতার হার কম - ajkerparibartan.com
করোনা ভাইরাস নিয়ে আতংক ও গুজব ছড়ানোর চেয়ে সচেতনতার হার কম

2:21 pm , March 19, 2020

নিজস্ব প্রতিবেদক॥ আতংকিত হওয়াটা সমাধান নয়, তবে সকলকে অবশ্যই সাবধান হতে হবে। সারা বিশে^র ন্যায় বাংলাদেশে দ্রুত গতিতে ছরিয়ে পড়ছে কোভিড-১৯ বা নভেল করোনা ভাইরাস। বিশে^র বড় বড় শক্তিশালী রাষ্ট্র গুলো যখন এই ক্ষুদ্রাকৃতির মৃত্যুদূতকে আতংকের অন্য নাম হিসেবে দেখছে, সেখানে প্রস্তুতি বা সাবধানতা কতটা তা সত্যিই প্রশ্নের বিষয়। গত কয়েকদিনে দেশের বিভিন্ন স্থানের ন্যায় বিভাগের বিভিন্ন জেলায় করোনার আতংকের সাথে সাথে ভাইরাসটি ছড়ানোর খবর পাওয়া গেছে। হাতের স্পর্শ বা বায়ূর মাধ্যমে ছড়ানোয় সক্ষম এই ভাইরাসটি ঘনবসতিপূর্ন উন্নয়নশীল দেশে যে খুব দ্রুতই মহামারির আকার ধারন করতে পারে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আমরা মুলত এই মহামারি সামাল দিতে কতটা সক্ষম তা আমাদের জানা নেই। চিকিৎসাগত দিক দিয়ে হয়ত খুবই দুর্বল আমরা যা খোদ অনেক চিকিৎসকরাই স্বীকার করছেন অকপটে। তবে তাদের ভাষায় যদি আমরা এর ছড়িয়ে পড়া আটকাতে পারি তবে এই ভয়ংকর মহামারির আঘাত কিছুটা সামাল দেয়া সম্ভব। এর সাথে অবলম্বন করতে হবে বেশ কিছু সাবধানতাও। কিন্তু উদাসীন বাসিন্দারা এখনও অনেকটাই অজ্ঞান কোভিড-১৯ এর ভয়াবহতা সম্পর্কে। স্যোসাল মিডিয়ায় অল্প জ্ঞানের বিশদ বিচরন দেখিয়ে আতংক ঠিকই ছড়াচ্ছি তবে সাবধান হচ্ছিনা মোটেও। চিকিৎসকদের মতে এই সময়টি আসলে আতংকিত হয়ে পথ হারানোর নয়। এখন সময় আমাদের যেটুকু সাধ্য রয়েছে তা নিয়ে এই পরিস্থিতির মোকাবেলা করা। একাধিক চিকিৎসকদের সাথে আলাপে জানা গেছে, ভাইরাসটির আরেক নাম ২০১৯ এনসিওভি বা নভেল করোনাভাইরাস। এটি এক ধরণের করোনাভাইরাস। করোনাভাইরাসের অনেক রকম প্রজাতি আছে, কিন্তু এর মধ্যে মাত্র ছয়টি প্রজাতি মানুষের দেহে সংক্রমিত হতে পারে। তবে নতুন ধরণের ভাইরাসের কারণে সেই সংখ্যা এখন থেকে হবে সাতটি। এর লক্ষন কি এই প্রশ্নের জবাবে চিকিৎসকরা বলেন, রেসপিরেটরি লক্ষণ ছাড়াও জ্বর, কাশি, শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যাই মূলত প্রধান লক্ষণ। এটি ফুসফুসে আক্রমণ করে। সাধারণত শুষ্ক কাশি ও জ্বরের মাধ্যমেই শুরু উপসর্গ দেখা দেয়, পরে শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দেয়। সাধারণত রোগের উপসর্গগুলো প্রকাশ পেতে গড়ে পাঁচদিন সময় নেয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ভাইরাসটির ইনকিউবেশন পিরিয়ড ১৪দিন পর্যন্ত স্থায়ী থাকে। তবে কিছু কিছু গবেষকের মতে এর স্থায়িত্ব ২৪ দিন পর্যন্ত থাকতে পারে। মানুষের মধ্যে যখন ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেবে তখন বেশি মানুষকে সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকবে তাদের। তবে এমন ধারণাও করা হচ্ছে যে নিজেরা অসুস্থ না থাকার সময়ও সুস্থ মানুষের দেহে ভাইরাস সংক্রমিত করতে পারে মানুষ। সব মিলিয়ে এমন পরিস্থিতি কিছুটা অতংকিত করে থাকবে এটাই স¦াভাবিক বলেছেণ ছিকিৎসকরা তবে। তবে আতংকিত হয়ে কোন লাভই নেই যদি আমরা আমাদের আতংককে সাবধানতা বা সচেতনতায় রুপান্তরিত করতে না পারি। নগরীতে আতংক ছড়ানোর সাথে সাথে সচেতনতা না ছড়ালেও ভিত্তিহীন গুজব ছড়াচ্ছে এই রোগটি নিয়ে। এতে করে ভয়াবহতা আরও বাড়তে পারে। গত বুধবার গভির রাতে থানকুনি পাতা নিয়ে একটি গুজব ছড়ায় নগরব্যাপি। একজন ব্যাক্তি কতটা জ্ঞানশূন্য হলে এমন গুজবের পেছনে ছোটে তা ভাবার বিষয়। অন্যদিকে নগরীর বিভিন্ন জনবহুল যায়গা গুলোতে এখনও দিনের বিভিন্ন সময় মানুষের সমাগম দেখা যায়। কর্ম ব্যাস্ততার কারনে থাকাটা এক বিষয় তবে আমরা এখনও বিকেল বেলা সংক্রমনের ভয়কে ছপিয়ে নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যান, ত্রিশ গোডাউন, বিবির পুকুর পাড়ের মত জন বহুল স্থানে কোন সুরক্ষা ব্যাবস্থা ছাড়াই আড্ডায় মেতে উঠি। আড্ডার বিষয়বস্তু থাকে করোনা ভাইরাস। আমরা কতোটা নির্বোধ তা আমাদের এমন আচরন বা চলাফেরায় স্পস্ট হয়ে ওঠে বলে মন্তব্য করেছেন সুশীল সমাজের ব্যাক্তিরা। যেখানে বিশে^র বড় বড় শক্তিশালী দেশ বিলিন হওয়ার উপক্রম সেখানে আমরা করোনা কে দেখছি খুবই হালকা করে। কখোনও একে আক্ষায়ীত করছি গজব এর নামে, কখনও আবার বলছি এত আমাদের কিছুই হবে না। নিজেদের সচেতনতা বাড়ানোর বদলে খাচ্ছি রাতের বেলা থানকুনি পাতা। এমন একটি দেশে মহামারির আকার ধারন করলে তা মানছিত্রকেও বিলীন করে দিতে পারে বলে ধারনা করা অস্বাভাবিক নয়।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT