স্নাতক চতুর্থ বর্ষের আন্দোলন স্থগিত স্নাতক চতুর্থ বর্ষের আন্দোলন স্থগিত - ajkerparibartan.com
স্নাতক চতুর্থ বর্ষের আন্দোলন স্থগিত

1:00 am , February 19, 2020

 

নিজস্ব প্রতিবেদক॥ ¯œাতক ৪র্থ বর্ষের পরিক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবীতে টানা ৩য় দিনের মত ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেছে বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা। গতকাল মঙ্গলবার সকালে ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে কলেজের সামনে তীব্র যানযটের সৃস্টি হয়। তখন কলেজ কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের আশ্বাসে ফের তা শান্ত হয়। তবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে তাদের দাবী পূর্নাঙ্গরুপে মেনে নেয়া না হলে তারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বরিশাল এর কার্যালয় ঘেরাও করবে। এছাড়া যে সকল কেন্দ্রে ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষা হবে সেই সকল কেন্দ্রে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হবে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানায়, রোববার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ¯œাতক ৪র্থ বর্ষের পরিক্ষার রুটিন প্রকাশ করে। এই রুটিন অনুযায়ী ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪র্থ বর্ষের সকল বিভাগের চুড়ান্ত পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। যা শেষ হবে আগামী ২৮ মার্চ। কিন্তু বর্তমানে চলছে ৩য় বর্ষের পরীক্ষা। সকল বিভাগের ৩য় বর্ষের এই পরীক্ষা শেষ হতে চলতি মাসের ২৫ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত চলে যাবে। মানবিক ও বানিজ্যে’র আওতাধীন বিষয়গুলোর পরীক্ষা ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ হলেও বিজ্ঞান বিভাগের সকল বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ হবে ২৭ ফেব্রুয়ারি। বর্তমানে ৩য় বর্ষের নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সাথে ৪র্থ বর্ষের সকল বিভাগের হাজারো শিক্ষার্থী মানোন্নয়ন পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। নানা কারনে গত বছর ৩য় বর্ষের পরীক্ষায় আশানুরুপ ফলাফল না হওয়ায় তাদের অনেকেই একাধিক বিষয়ে মানোন্নয়ন (ইমপ্রুভমেন্ট) পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন এ বছর এর ৩য় বর্ষের নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সাথে। আসল বিপত্তিটি এখানেই ঘটেছে বলে জানান শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন বর্তমানে চলা ৩য় বর্ষের চলমান পরীক্ষায় তারা মান উন্নয়নের জন্য একাধিক বিষয়ে পুনরায় অংশ নিচ্ছেন। এই পরীক্ষা শেষ হতে না হতেই যদি তাদের নিয়মিত ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষা শুরু হয়ে যায় তবে তারা প্রস্তুতির জন্য এক দিনও সময় পাবে না। যার ফলে ৩য় বর্ষের মান উন্নয়ন হলেও মান হারাবেন ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষায়। শেষ বছরের পরীক্ষায় যদি তাদের ফলাফল মান সম্মত না হয় তবে তার প্রভাব পড়বে সমগ্র ফলাফলে। এই জন্য বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষার রুটিন বাতিল করে নতুন রুটিন করার জন্য তারা আন্দোলন করেছে। প্রথম দুদিনের আন্দোলনের পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ২ দিন পিছিয়ে নতুন রুটিন প্রকাশ করে। তবে তাতে কোন সুফল নেই এবং আন্দোলন আরও তরান্বিত হয়। যার ফলে তৃতীয় দিনের মত আন্দোলনে অংশ নেন তারা। কারন রুটিন দুদিন পেছানো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ঠাট্রা করছে বলে জানান।
আন্দোলনে নেতৃত্ব দানকারী ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মর্তুজা রনি জানান, তাদের দুদিনের শান্তিপূর্ন আন্দোলনকে হয়ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঠাট্রা হিসেবে নিচ্ছে। তাই মাত্র দুদিন পিছিয়ে নতুন রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে। এজন্য সঠিক ব্যবস্থা না নেয়া হলে তারা শান্তিপূর্ন আন্দোলন থেকে সহিংস আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবেন। তাদের আন্দোলনে এখন পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোন প্রতিনিধি দেখার জন্যও আসেনি। যা খুবই আক্ষেপের বিষয়। তাই সঠিক পদক্ষেপ না নেয়া হলে তারা আন্দোলন অব্যাহত রাখবেন বলে জানান এই ছাত্র নেতা। এর পর দাবী পূর্নাঙ্গরুপে মেনে নেয়া না হলে তারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বরিশাল এর কার্যালয় ঘেরাও করবে। এছাড়া যে সকল কেন্দ্রে ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় সে সকল কেন্দ্রে তালা মেরে দেয়া হবে।
আন্দোলন রত শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যৌক্তিক বলে তাদের শান্ত হওয়ার পরামর্শ দেন বিএম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শফিকুর রহমান শিকদার, ভাইস প্রিন্সপাল ড. গোলাম মো. কিবরিয়া এবং শিক্ষক পরিষদের সাধারন সম্পাদক আলামিন সরোয়ার। তারা পুনরায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপের আশ্বাস দেন শিক্ষার্থীদের এবং বলেন, এর পর পরীক্ষা পেছানো হলে আগামী জুলাই মাসে তা অনুষ্ঠিত হতে হবে। যদি শিক্ষার্থীরা তাতে রাজি থাকে তবে সেই অনুযায়ী আলাপ করবেন তারা। এসময় শিক্ষার্থীরা তাদের প্রস্তাবে রাজি হয় এবং আন্দোলন সাময়িকভাবে স্থগিত করেন।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT