বিএনপি’র কাকে মারতে হবে, কার নামে মামলা হবে নির্ধারন করে পিকলু! বিএনপি’র কাকে মারতে হবে, কার নামে মামলা হবে নির্ধারন করে পিকলু! - ajkerparibartan.com
বিএনপি’র কাকে মারতে হবে, কার নামে মামলা হবে নির্ধারন করে পিকলু!

1:00 am , February 9, 2020

 

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ আ’লীগের সাথে আঁতাত করে চলা মাদক ব্যবসায়ী সালাহউদ্দীন পিকলুকে নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে মেহেন্দিগঞ্জ বিএনপি। এতবড় একটি পদে থেকে দলীয় কর্মকান্ড তো করছেনই না উল্টো নিজ দলের নেতাকর্মীদের শায়েস্তা করছেন আ’লীগের লোকজন দিয়ে। সালাহউদ্দীনের মত একজন মাদক ব্যবসায়ী কিভাবে উত্তর যুবদলের সম্পাদক হলেন এ নিয়ে শুরু থেকেই প্রশ্ন ছিলো। যেখানে বিএনপি বলছে দলের মাদক ব্যবসায়ীদের কোন স্থান নেই সেখানে কিভাবে পিকলুকে দলের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে এ নিয়ে চলছে সমালোচনা। অনেকে বলছেন দলে ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে মাদক ব্যবসায়ী ও আ’লীগ পরিবারের লোকজনকে বড় পদে রাখার কারণেই আজকে বিএনপির এই অবস্থা। সালাহউদ্দীন পিকলুর ৭ ভাইয়ের মধ্যে ৫ জনই সরাসরি আ’লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত। এ কারণে পিকলুর নামে আজ পর্যন্ত কোন রাজনৈতিক মামলা হয়নি। শুধু তাই নয় মেহেন্দিগঞ্জে পংকজ বাহিনীর অত্যাচারে যেখানে নেতাকর্মীরা এলাকা ছাড়া। অনেক নেতাদের নামে দায়ের হচ্ছে একের পর এক হয়রানী মূলক মামলা, সেখানে খুব ভালই আছেন পিকলুরা। হয়রানীতো দূরের কথা উল্টো ছাত্রলীগের অনেক নেতা চলেন পিকলুর কথায়।
পিকলুর হামলার শিকার হয়ে পঙ্গু হয়ে গেছে জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান লাভলু। ওই মামলা এখনও আদালতে বিচারাধীন। নানা অভিযোগে ২০০৪ সালে দল থেকে বহিস্কার হয়েছিলেন পিকলু।
মেহেন্দিগঞ্জ থানা ছাত্রদলের আহবায়ক থাকাবস্থায় ২০১৫ সালের ১৯ জুলাই রাতে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী সালাহউদ্দিন পিকলুকে লেবুখালী ফেরীঘাট থেকে ৪৫ পিস ইয়াবা এবং এক বোতল মদসহ পুলিশ আটক করে পুলিশ। পটুয়াখালীর আদালতে সালাউদ্দিন পিকলুসহ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুমকি থানার এসআই জাকির হোসেন। বর্তমানে মামলাটি চলমান।
আদালতের পেশকার রেজাউল করিম জানান, ওই মামলাটি এখন সাক্ষীতে রয়েছে। আগামী তারিখে সাক্ষ্যগ্রহন করা হবে। ওই মামলায় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাজীব আহসানসহ আসামীর সংখ্যা ৬।
এতকিছুর পরেও ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসানের প্রভাব কাজে লাগিয়ে উত্তর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পদকের পদ বাগিয়ে নেয় পিকলু। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে পিকলুর পরিবারের উত্থান আ’লীগের হাত ধরে। এক সময় পিকলুর পরিবার অত্যন্ত দরিদ্র ছিল। ১৯৭৩ সালে জেলা আ’লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি মহিউদ্দীন আহমেদের হাত ধরে তাদের পরিবারে স্বচ্ছলতা ফিরতে শুরু করে। মহিউদ্দীন আহমেদ পিকলুর বাবাকে একটি ব্যবসায়ীক লাইসেন্স করে দেন। এরপর থেকে আর তাদের পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে স্থানীয় ছাত্রলীগের শাকিল বাহিনীর মাধ্যমে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের শায়েস্তা করছেন সালাহউদ্দীন পিকলু। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিএনপি নেতা বলেন ‘বিএনপির আজকের দূরাবস্থান জন্য বিএনপিই দায়ী। সালাহউদ্দীন পিকলু মাদক ব্যবসায়ী এবং আ’লীগ পরিবারের লোক। এটা সবারই জানা। তার পরেও এ ধরনের লোক যদি যুবদলের সম্পাদক হয় তাহলে আমাদের মত ত্যাগী নেতাকর্মীদের উচিৎ দল থেকে পদত্যাগ করা। এ নেতা অভিযোগ করে বলেন ‘শুধু মেহেন্দিগঞ্জে নয় বিভিন্ন উপজেলায় এভাবে মাদক ব্যবসায়ী ও আ’লীগ পরিবারের সদস্যদের পদ দেয়া হয়েছে। বিএনপি যদি ত্যাগের প্রসঙ্গ বাদ দিয়ে কমিটি বানিজ্যকে গুরুত্ব দেয় তাহলে ভবিষ্যতে দলের অবস্থা আরো শোচনীয় হবে।
অপর এক নেতা অভিযোগ করে বলেন ‘ ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে সাবেক এমপি মেজবাহউদ্দীন ফরহাদ মনোনয়নপত্র দাখিল করতে গেলে স্থানীয় আ’লীগের ক্যাডাররা তার বহরে হামলা করে। পরে উল্টো মামলাও করা হয় বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। আশ্চর্যের বিষয় হলো হামলায় সবাই মারধরের শিকার হলেও পিকলুর গায়ে একটি আচরও লাগেনি। আর মামলারতো প্রশ্নই আসেনা। কারণ বিএনপির কার নামে মামলা হবে, কাকে মারতে হবে এসবকিছু ঠিক করেন পিকলু।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT