পুলিশের গাড়ি আটকে আসামি ছিনতাই চেষ্টায় আটক ৫ পুলিশের গাড়ি আটকে আসামি ছিনতাই চেষ্টায় আটক ৫ - ajkerparibartan.com
পুলিশের গাড়ি আটকে আসামি ছিনতাই চেষ্টায় আটক ৫

2:17 pm , January 3, 2020

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের পঞ্চম তলার ডক্টর্স কেন্টিনে বিচারকের দেহরক্ষী পুলিশ সদস্যকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় আটক কেন্টিন মালিকের ছেলেকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের গাড়ি আটকে রাখে ১১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলের মালিকানাধীন স্টাফ কেন্টিনের কর্মচারীরা। পরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের মাধ্যমে আটকে রাখা পুলিশের গাড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশ সদস্যকে লাঞ্চিতকারী বখাটেসহ ৫ জনকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো- নগরীর আলেকান্দা এলাকার বাসিন্দা ও শেবাচিম হাসপাতালের ‘মেডিকেল কেন্টিনের অংশীদার ও ৫ম তলার ডক্টর্স কেন্টিনের মালিক মনসুরের ছেলে আরিফ, হাসপাতালের নীচতলায় স্টাফ কেন্টিনের কর্মচারী লাইজুসহ ৫ জন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও লাঞ্চিত হওয়া পুলিশ সদস্য মাসুম বিল্লাহ জানান, ‘তার রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সেই সুবাধে রোগী কাছে থাকতে হচ্ছে তাকে। শুক্রবার বিকেলে কফি খাওয়ার জন্য শেবাচিম হাসপাতালের পঞ্চম তলার কেন্টিনে যান।
মাসুম বিল্লাহ’র বরাত দিয়ে হাসপাতালে দায়িত্বরত এসআই নাজমুল হোসেন বলেন, ‘কেন্টিনে গিয়ে কফি চাওয়া মাত্রই কেন্টিনে থাকা আরিফ নামের যুবক পুলিশ সদস্যকে তুই বলে সম্মোধন করে এবং কফি খেতে হলে দাড়িয়ে থাকতে বলে। এ সময় ওই পুলিশ সদস্য ‘তুই’ বলায় প্রতিবাদ করেন। এতেই ক্ষুব্ধ হয় আরিফ নামের ওই বখাটে যুবক। এক পর্যায় সে পুলিশ সদস্য’র দিকে তেড়ে আসে। এমনকি নিজের পরিচয় বলার পরেও দোকানের মধ্যে থেকে বেরিয়ে পুলিশ সদস্যকে তিন-চারটি ধাক্কা দেয় আরিফ।
এদিকে কোতয়ালী মডেল থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) মোজাম্মেল হক বলেন, ‘পুলিশ সদস্যকে লাঞ্চিত করার অভিযোগে কেন্টিন মালিককে আটক করা হয়। তাকে থানায় নিয়ে আসতে গাড়িতে তোলা হয়। তখন হাসপাতালের নীচ তলায় মেডিকেল স্টাফ কেন্টিনের কর্মচারীরা গাড়ি ঘেরাও করে আটকে রাখে। বেতার যন্ত্রের মাধ্যমে খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে আটকে রাখা গাড়ি উদ্ধার এবং স্টাফ কেন্টিনের চার কর্মচারী সহ ৫ জনকে আটক করা হয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ‘হাসপাতালের স্টাফ কেন্টিনের মুল মালিক ১১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মজিবর রহমান। তার সহযোগী হিসেবে কেন্টিনের ব্যবসা করেন মুনসুর। পঞ্চম তলায় সিঁড়ির কোঠায় অবৈধভাবে কেন্টিনের ব্যবসা পরিচালনা করছে মুনসুর ও তার বখাটে ছেলে আরিফ। সে মাদকাসক্ত হওয়ায় ইতিপূর্বে তাকে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসাও করানো হয়েছে বলে জানাগেছে। তাছাড়া হাসপাতালের দুটি কেন্টিনেই ক্রেতাদের সঙ্গে অসৌজন্যমুলক আচরণ এবং তাদের লাঞ্চিত করার অভিযোগ রয়েছে ওই মালিক ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে। একারনে ইতিপূর্বে বেশ কয়েকজন বার হাসপাতালের স্টাফ কেন্টিন বন্ধ করে দেয় মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীরা।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT