2:56 pm , October 3, 2019
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ একটানা ৩৫ ঘন্টা পর অনশন প্রত্যাহার করেছে ব্যাটারীচালিত রিক্সা শ্রমিক-মালিক সংগ্রাম কমিটি ও মহানগর রিক্সা-ভ্যানচালক-শ্রমিক ইউনিয়ন। নগরীর নির্দিষ্ট এলাকায় ব্যাটারীচালিত রিক্সা চলাচল ও আটককৃত মোটর-ব্যাটারী চালকদের ফিরিয়ে দেয়ার আশ্বাসে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অনশন প্রত্যাহার করা হয়। সোয়া সাতটায় পানি পান করার মাধ্যমে অনশনের ইতি টানেন সংগ্রাম কমিটির উপদেষ্টা ডা. মনিষা চক্রবর্তী ও আন্দোলন ও অনশনরত কমীরা। এর আগে নাগরিক প্রতিনিধি দল অনশন নিয়ে বিকেল সাড়ে চারটায় মহানগর উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি ট্রাফিক) মো. খায়রুল আলমের সাথে সভা করেন। তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় পুলিশ কর্মকর্তা বেধে দেয়া সড়কে আইন মেনে রিক্সা চলাচলের জন্য নাগরিক প্রতিনিধিদের আশ্বস্থ করেন। পরে নাগরিক প্রতিনিধিরা অনশনরত রিক্সা শ্রমিকদের নগরীর কোন কোন রুটে রিক্সা চালাতে পারবে তার দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন। তারা হলো- উন্নয়ন সংস্থা বিএনডিএন এর উপদেষ্টা আনোয়ার জাহিদ, সচেতন নাগরিক কমিটি সভাপতি অধ্যাপিকা শাহ সাজেদা, বরিশাল মহিলা পরিষদ সভাপতি রাবেয়া খাতুন, সাধারন সম্পাদিকা পূস্প রানি চক্রবর্তী, বরিশাল জেলা গণ ফোরাম সভাপতি এ্যাড. হিরন কুমার দাশ মিঠু, আইনজীবী তপন চক্রবর্তী, বাসদ বরিশাল জেলা আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার ইমরান হাবীব রুমন, সংগ্রাম কমিটি উপদেষ্টা ডা. মনিষা চক্রবর্তী প্রমুখ। সেখান থেকে ফিরে এসে প্রতিনিধিদল শ্রমিকদের নিয়ম কানুন বুঝিয়ে বলার পর অনশনরত শ্রমিকরা তা মেনে নেন। পরে পানি পান করিয়ে অনশন ভঙ্গ করানো হয়। সিদ্বান্ত অনুযায়ী দিনের বেলা নগরীর প্রধান প্রধান সড়কে ব্যাটারিচালিত রিক্সা চলাচল করতে পারবে না। তবে অলিতে-গলিতে চলাচল করতে পারবে। রাত ৯টার পর নগরীর প্রধান প্রধান সড়কে চলাচল করতে পারবে। উল্লেখ্য ব্যাটারীচালিত রিক্সা উচ্ছেদ বন্ধ করা সহ পুলিশের হাতে আটক ২ কোটি টাকার অর্থমূল্যের ব্যাটারী ও মটর ফিরিয়ে দেয়ার দাবীতে বুধবার সকাল থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করে।