3:12 pm , September 30, 2019
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ গ্রাহকের প্রায় দেড় কোটি টাকা নিয়ে আত্মগোপন করেছেন কথিত বন্ধন সমিতির প্রতিষ্ঠাতা রফিকুল ইসলাম। নিজেদের জমাকৃত টাকা ফেরত পেতে আত্মগোপন করা রফিকুলের খোঁজে বিভিন্নস্থানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বাকেরগঞ্জ উপজেলার কামারখালি ও চরামদ্দি বাজার এলাকার দুটি শাখার কয়েকশ’ প্রতারিতরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দাড়িয়াল ইউনিয়নের মিরমদন গ্রামের বাসিন্দা ও মিরমদন হামিদীয়া জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম খান বেসরকারী আশা সমিতির মাঠকর্মী হিসেবে চাকরি করতেন। গত এক বছর আগে তিনি চাকরি ছেড়ে বন্ধন সমিতি প্রতিষ্ঠা করেন। বাকেরগঞ্জ উপজেলার কামারখালি বাজার এবং চরামদ্দি বাজার এলাকায় বন্ধন সমিতির দুইটি শাখা ছিলো। তিনি (রফিকুল) নিজেই ওই সমিতির প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক।
প্রতারিত গ্রাহকরা জানান, এক লাখে প্রতি মাসে পনেরশ’ টাকা লাভ দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে দুইটি শাখার অর্ন্তভূক্ত কয়েকশ’ ব্যক্তির কাছ থেকে রফিকুল ইসলাম প্রায় দেড় কোটি টাকা জমা নিয়েছেন। এলাকার সাধারণ মানুষ অধিক লাভের আশায় ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে রফিকুল ইসলামের বন্ধন সমিতিতে জমা করেন। পরবর্তীতে কয়েক মাস গ্রাহকের লাভের টাকা পরিশোধ করেন রফিকুল। এরইমধ্যে এক সপ্তাহ পূর্বে গ্রাহকরা বন্ধন সমিতির দুটি অফিসে তালা ঝুলানো দেখে প্রতিষ্ঠাতা রফিকুল ইসলামের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্ঠা করে তা বন্ধ পেয়ে দিশেহারা হয়ে পরেন। পরবর্তীতে গত এক সপ্তাহেও তার (রফিকুল) কোন খোঁজ মেলেনি।
মিরমদন হামিদীয়া জামে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুরু সিকদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রতারিত গ্রাহকদের আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আবুল কালাম বলেন, বিষয়টি মৌখিকভাবে শুনেছি। গ্রাহকদের থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।