ফোরলেন সড়ক নগরীর বাইরে করার দাবী ফোরলেন সড়ক নগরীর বাইরে করার দাবী - ajkerparibartan.com
ফোরলেন সড়ক নগরীর বাইরে করার দাবী

3:27 pm , August 2, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ফরিদপুর থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত চার লেনে উন্নীত করণ প্রকল্প বাস্তবায়নে ভূমি অধিগ্রহণের খবরে হতাশ হয়ে পড়েছেন নগরীর কয়েক হাজার পরিবার। ভূমি অধিগ্রহণের ফলে বছরের পর বছর ধরে বসবাস করা ব্যক্তিদের ছোট-বড় ভবন ও জমি হারিয়ে পথে বসার উপক্রোম ঘটেছে। ফলে শেষ সম্বল রক্ষায় আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিয়েছেন নগরীর গড়িয়ারপাড় থেকে রূপাতলী শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সেতু এলাকার বসবাসকারিরা। এজন্য তারা গঠন করেছেন একটি আন্দোলন কমিটি।
তাছাড়া ভূমি অধিগ্রহনের হাত থেকে রক্ষা পেতে বরিশাল সিটি মেয়র বরাবর লিখিত আবেদন জানানো ছাড়াও বৃহস্পতিবার রাতে সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ’র সাথে দাবি নিয়ে কথা বলেন। এসময় মেয়র ভবন ও জমি মালিকদের পাশে থাকার আশ^াস দিয়েছেন।বরিশাল সড়ক ও জনপদ বিভাগ সূত্রে জানাগেছে, ফরিদপুর থেকে শুরু হয়ে ভাঙা-বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা জাতীয় মহাসড়ক চার লেনে উন্মুক্ত করণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে মহাসড়কের প্রস্তাবিত এলাকায় ভূমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু করেছে সড়ক বিভাগ। যার মধ্যে বরিশাল সদর, বাকেরগঞ্জ, বাবুগঞ্জ, গৌরনদী, উজিরপুর ও ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলাধিন মোট ৯০ দশমিক ৫৮ একর ভূমি অধিগ্রহণ করবে সরকার। যার মধ্যে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্ভূক্ত কাশিপুর-চহুতপুর-বগুরা আলেকান্দা-সাগরদী-রূপাতলী মৌজার ড্রেনের সিমানা থেকে ২০ ফুট ভিতরে প্রায় ১২ দশমিক ৪৯৯ একর অতিরিক্ত জমি অধিগ্রহন করা হবে। এসময় মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ বলেন যে কোন মূল্যে জনগনেরসহায় সম্পদ রক্ষার জন্য বাইপাস হয়ে ফোরলেন বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন বিষয়টি নিয়ে আমি সড়ক বিভাগের সাথে কথা বলবো । যাতে করে সাধারন মানুষের সম্পদ ক্ষতি না করে বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে উন্নয়ন করা হয়।
সরকার ফরিদপুরে ভাঙ্গা থেকে পায়রা সমুদ্রবন্দর পর্যন্ত ফোর লেন বাস্তবায়নের কাজ হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে বরিশাল নগরীর গড়িয়ার পাড় থেকে আবদুর রব সেরনিয়াবাত দপদপিয়া সেতু পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার সড়কে ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ২শতাধিক ৫তলা ভবন ও ৩শতাধিক ছোট-বড় ভবনসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় উপসনালয়, সরকারী-বেসরকারি অফিস ফোরলেন সড়কের জমিতে পড়বে। এরই মধ্যে জমি অধিগ্রহনসহ যাবতীয় কাজ শুরু করেছে সড়ক বিভাগ। যার কারনে সিএন্ডবি সড়কের আশেপাশে থাকা বাসিন্দারা পড়েছে দুশ্চিন্তায়।
পূর্ব প্রস্তাবিত গড়িয়ারপার থেকে আবদুর রব সেরনিয়াবাত দপদপিয়া সেতু পর্যন্ত শহরের বাইর থেকে একটি বাইপাস সড়কের প্রস্তাবনা দীর্ঘদিন যাবৎ বরিশাল বাসীর প্রত্যাশা।  বরিশাল শহরের মধ্যদিয়ে বয়ে যাওয়া ফোর লেন সড়কটিতে প্রতিনিয়ত দূরর্ঘটনা ও সড়কের আশপাশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে থেকে ভারি ভারি যানবাহন চলাচলের কারনে সড়কটিতে মৃত্যুর মিছিল বাড়ছে। যার কারনে বরিশালের সুশিল সমাজ দীর্ঘদিন যাবৎ নগরীর বাইর থেকে একটি বিকল্প বাইপাস সড়কের দাবি করে আসছে।
এ প্রসঙ্গে সড়ক ও জনপদ বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সুশীল কুমার সাহা বলেন, ফোর লেন প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ভূমি অধিগ্রহনের কাজ শুরু হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব এটা সম্পন্ন করে মুল প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ণ হবে।
তিনি বলেন, ফোর লেনের জন্য ভূমি অধিগ্রহনের জন্য প্রস্তাবিত জমি নিয়ে অন্য কোথায় কোন ঝামেলা নেই। শুধুমাত্র বরিশাল নগরীর কাশিপুর থেকে রূপাতলী এলাকা পর্যন্ত একটু সমস্যা রয়েছে। কেননা এই সড়কটি জাতীয় মহাসড়কের অন্তর্গত হলেও এটিকে বাইপাস সড়ক হিসেবে দেখা হচ্ছে। কেননা নগরীর মূল শহর বাইপাস সড়কের থেকে অনেক ভেতরে। তাই সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
তিনি বলেন, সরকারি নীতিমালা অনুসরন করেই ভূমি অধিগ্রহনের কাজ করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে জমির বর্তমান যে মূল্য রয়েছে তার তিন গুন মূল্যপাবে মালিকরা। তাছাড়া জমিতে ভবন বা বহুতল ভবন থাকলে সেভাবেই অধিগ্রহনের মূল্য দেয়া হবে। সুতরাং ক্ষতির কারন দেখছি না। তার পরেও জমি এবং ভবন মালিকদের অভিযোগ থাকতেই পারে। সে ক্ষেত্রে অভিযোগের বিষয়টি আমাদের লিখিতভাবে জানাতে হবে। আমরা উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
তিনি আরো বলেন, ইতিপূর্বে বরিশাল শহরের বাইরে থেকে একটি বাইপাস সড়ক নির্মানের প্রকল্প মন্ত্রনালয়ে অনুমোদনের জন্য প্রেরন করা হয়েছে। ওই প্রকল্পটিও এখনো প্রক্রিয়াধিন রয়েছে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT