বাবুগঞ্জে আ’লীগ নেতাকে ধরে নিয়ে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা দায়ের বাবুগঞ্জে আ’লীগ নেতাকে ধরে নিয়ে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা দায়ের - ajkerparibartan.com
বাবুগঞ্জে আ’লীগ নেতাকে ধরে নিয়ে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা দায়ের

2:58 pm , November 26, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ সংবাদ প্রকাশের জের ধরে বাবুগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতাকে তুলে নিয়ে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাতে নির্যাতনের শিকার আওয়ামী লীগ নেতা হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে মামলাটি করেন। ওই মামলায় কেদারপুর ইউপি চেয়ারম্যানের ক্যাডার বাহিনীর ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫ জনের নাম উল্লেখ করা হলেও বাকিদের অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
নামধারী আসামিরা হলো- বাবুগঞ্জের কেদারপুর ইউপি চেয়ারম্যান নুর আলমের সহযোগী ও এলাকার চিহ্নিত মাদক সেবী আব্দুস ছালাম, মফিজুল ইসলাম, আল আমিন, মাহে আলম ও শিহাব। তবে আহত ব্যক্তি হামলার পেছনে মুল ইন্দোনদাতা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যানের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ করলেও তাদের মামলায় আসামি করা হয়নি। রাজনৈতিক এবং পেশিশক্তির ভয়ে তাদেরকে আসামি করা হয়নি বলে জানিয়েছেন নির্যাতনের শিকার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ও থানা যুবলীগের ত্রান ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক হুমায়ুন আহমেদ।
তিনি জানান, ‘সোমবার স্থানীয় এবং জাতীয় পত্রিকায় বাবুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান সরদার খালেদ হোসেন স্বপন ও তার সহযোগী কেদারপুর ইউপি চেয়ারম্যান নুর আলমের অনৈতিক কর্মকান্ড নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। যা স্থানীয় মোল্লারহাট নামক এলাকার দোকানের সামনে দাড়িয়ে পড়তে ছিলেন হুমায়ুন কবির। এ অপরাধে ইউপি চেয়ারম্যান নুর আলমের নির্দেশে তার লোকেরা হুমায়ুনকে মারধর করে ধরে নিয়ে যায়। স্থানীয় জনতারহাট নামক এলাকার চরের মধ্যে নিয়ে তাকে পুনরায় নির্মমভাবে নির্যাতনের পাশাপাশি তার ভাড়া করা একটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। ঘটনাটি জানাজানি হলে সন্ত্রাসীরা তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় হুমায়ুন কবিরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
হুমায়ুন কবির বলেন, ‘হামলার নেপথ্যে যারা রয়েছেন তারা অনেক শক্তিশালী এবং ক্ষমতাধর। তাই তাদের বিরুদ্ধে মামলা করলে আমি এলাকায় টিকে থাকতে পারব না। কেননা ঘটনার পরই নুর আলম হাসপাতালে এসে আমাকে ভদ্র ভাষায় হুমকি দিয়ে গেছে। এ কারনে তাদেরকে মামলার আসামি করা সম্ভব হয়নি। তাছাড়া আসামি না করার পেছনে স্থানীয় রাজনৈতিক বিষয়ও রয়েছে বলে মন্তব্য করেন।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT