3:07 pm , November 5, 2019
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের এসআইসহ দুই সদস্যর বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানী করার ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। গত ৪ নভেম্বর মহানগর পুলিশ কমিশনারের কাছে এ অভিযোগ দিয়েছেন নগরীর বাটার গলির কনিকা ডায়গনস্টিক সেন্টারের মালিক সৈয়দ কায়েস’র স্ত্রী তাহমিনা কায়েস। অভিযুক্ত ডিবি পুলিশ সদস্যরা হলো এসআই নজরুল ইসলাম ও কনষ্টেবল সালাম।
লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন তার স্বামীর প্রতিষ্ঠান কনিকা ডায়গনষ্টিক সেন্টারের সামনে জামায়াত পরিচালিত কে ল্যাব এশিয়া নামে একটি প্রতিষ্ঠান যাত্রা শুরু করে। এ নিয়ে অভ্যন্তরীন ব্যবসায়ীক বিরোধের জের ধরে ওই কে ল্যাব এশিয়ান এর প্রধান মালিক আবদুল খালেক সেন্টু মিয়া কোতয়ালী থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন। যার প্রেক্ষিতে ওসি নুরূল ইসলাম তার স্বামী কায়েসকে ডেকে মৌখিক ভাবে সর্তক করে বিরোধ না করার জন্য বলেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করার কারনে ওই প্রতিষ্ঠানের অন্য দুই মালিক কাফি ও মিলন স্বামী কায়েসকে শায়েস্তা করার জন্য এসআই নজরুল ও কনষ্টেবল সালামকে নিযুক্ত করেন। এরই প্রেক্ষিতে গত ২৮ নভেম্বর রাত সাড়ে ৯ টার দিকে কনিকা ডায়গনষ্টিক সেন্টার থেকে কায়েসকে পাশের ইজি শো-রুমের আন্ডার গ্রাউন্ডে ডেকে নিয়ে যায় এসআই নজরুল ও কনষ্টেবল সালাম। সেখানে কনষ্টেবল সালাম তার সাথে থাকা শর্টগান দিয়ে কায়েসকে শারীরিক নির্যাতন শুরু করে। পরে কায়েসের পার্টনার শোভন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য অনুরোধ করে। এক পর্যায়ে কায়েসকে নিয়ে ওই দুই পুলিশ সদস্য বাসায় গিয়ে তল্লাসী করে। সেখানে অবৈধ কোন কিছু না পেয়ে বলে আপনার স্বামীর কাছে ৪ বোতল ফেন্সিডিল পাওয়া গেছে। যে কারনে মামলা ও কায়েসকে মারধর করার হুমকি দেয়া হয়। এ সময় কায়েসকে ছেড়ে দেয়া ও মারধর না করার অনুরোধ করলে এসআই নজরুল ৪ লাখ টাকা ঘুষ দাবী করে। পরে নগদ ১ লাখ টাকার বিনিময়ে সন্দেহভাজন দেখিয়ে মামলা দায়ের ও মারধর না করার চুক্তি হয় এসআই নজরুলের সাথে। কিন্তু ২৮ অক্টোবর ২ বোতল ফেন্সিডিল দিয়ে কোতয়ালী থানায় মামলা করে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেছেন কায়েসের স্ত্রী তাহমিনা কায়েস।