3:28 pm , November 4, 2019
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল ইনিষ্টিটিউট অব হেলথ এন্ড টেকনোলোজিতে (আইএইচটি) র্যাগিংয়ের ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষের কাছে এ রিপোর্ট জমা দেন তদন্ত কমিটির প্রধান উপাধ্যক্ষ শুভংকর বাড়ৈ। তবে ঘটনাটি আলোচিত হওয়ায় কর্তৃপক্ষ প্রতিবেদন প্রকাশ না করে পরবর্তী সিদ্ধান্তের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাছে পাঠিয়েছেন। প্রতিবেদনে কি কি বিষয় উঠে এসেছে তা কিছুই স্পষ্ট করেননি প্রতিষ্ঠান কর্র্তপক্ষ। তবে প্রতিবেদনে র্যাগিংয়ের ঘটনা সন্দেহাতীত ভাবে প্রমানিত হয়েছে বলে উল্লেখ করে এর প্রতিকারসহ অন্যান্য আরো অন্তত ১০ টি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিয়ে সুপারিশ করা হয়েছে বলে তদন্ত কমিটি সুত্রে জানা গেছে। তদন্ত কমিটির প্রধান ডা. শুভংকর বাড়ৈ বলেন, কমিটির সদস্যরা পক্ষ বিপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মহলের সাথে কথা বলে প্রতিবেদন জমা দেয়া হযেছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ প্রতিবেদন প্রকাশ করবে। এ বিষয়ে অধ্যক্ষ ডাঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, একটি মোড়কে সিলগালা করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি। সেভাবেই মহাপরিচালক কাছে প্রেরন করা হয়েছে। তাই প্রতিবেদন নিয়ে তেমন কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
অধ্যক্ষ আরো জানান, মহাপরিচালক এ বিষয়ে অবগত ছিলেন। তাকে প্রতিবেদন সম্পর্কে অবহিত করা জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাই প্রতিবেদন প্রকাশ ও কোন সিদ্ধান্ত না নিয়ে তার কাছে পাঠানো হয়েছে।
অধ্যক্ষ বলেন, বিষয়টি এ সময়ের আলোচিত ও স্পর্শকাতর ঘটনা। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিলে শিক্ষার্থীরা ভালোভাবে নেবে না বলে সংশয় রয়েছে। তাই সব কিছু বিবেচনা করেই এ সিদ্ধান্ত ডিজি নেবে। তার সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন জানিয়ে অধ্যক্ষ বলেন, তার নির্দেশনা মোতাবেক পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। তবে কবে নাগাদ সে নির্দেশনা আসতে পারে সে বিষয়ে কোন ধারনা দিতে পারেননি অধ্যক্ষ। এদিকে তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি সুত্র জানিয়েছে র্যাগিংয়ের ঘটনা সন্দেহাতীত ভাবে প্রমানিত হওয়ায় এ প্রতিষ্ঠান থেকে চিরতরে র্যাগিং বন্ধের জন্য বেশ কিছু গঠনমূলক সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। তবে বিশেষ কাউকে চিহ্নিত করে দোষী সাব্যস্থ করা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে পারে নি ওই সুত্রটি। উল্লেখ্য গত ২৫ অক্টোবর তৃতীয় বর্ষের কয়েক ছাত্রী কর্তৃক র্যাগিংয়ের শিকার হয়ে আতœহত্যার চেষ্টা করে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি হয় আইএইচটির দ্বিতীয় বর্ষের ফিজিওথ্রেরাপি বিভাগের ছাত্রী আমেনা। ঘটনা তদন্তে পরের দিনই ৭ কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবার নির্দেশনা দিয়ে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ।