3:18 pm , November 12, 2025
কলাপাড়া প্রতিবেদক ॥ আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে বাড়ির সীমানা পিলার উপড়ে পানির লাইন ভাংচুর করে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি প্রতিকার চেয়ে আব্দুল জলিল নামে এক ব্যক্তি কলাপাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ করেছেন। বুধবার বেলা ১১টায় এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আব্দুল জলিল বলেন, তিনি আমমোক্তার নামার মাধ্যমে ২০১৯ সালে পাওয়ার অব আ্যাটর্নীমূলে মোট ১৭ দশমিক ৪২ শতক জমি তার স্ত্রী মরিয়ম আফরোজ এর নামে হস্তান্তর করেন। যেখানে বাসাবাড়ি করেন। ২০২৪ সালের ৭ আগষ্ট বসতঘর ভাংচুর করা হয়। এ ঘটনায় কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা হয়। বিজ্ঞ আদালত দোতরফা সূত্রে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন। এই আদেশ উপেক্ষা করে আবারও গত ৯ নভেম্বর বেলা ১১ টায় ফের হামলা চালিয়ে সীমানা পিলার উপড়ে ফেলে। পানির লাইন ভাংচুর করা হয়। গাছপালা উপড়ে ফেলা হয়। এ ঘটনায় আব্দুল জলিল তার জমি ঘেঁষা নেছারুদ্দিন সিনিয়র কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো: নাসির উদ্দিন হাওলাদার সহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামী করে কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করেন। আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন ( পিবিআই) কে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন। আবদুল জলিল বলেন, দলিলপত্র সবকিছু সঠিক থাকার পরেও তাঁকে তার ক্রয় করা জমির বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করতে এখন আইন আদালত কোন কিছুই মানছেন না। তিনি এর প্রতিকার চেয়েছেন। এব্যাপারে অভিযুক্ত মাওলানা মো. নাসির উদ্দিন হাওলাদার বলেন, মাদ্রাসার ৭০ বছরের দখলকৃত জমি বিগত আওয়ামী লীগ আমলে দখল করেছে। সময়-সুযোগ হওয়ায় আমরা বেদখল হওয়া জমি উদ্ধার করেছি। আদালতে মামলা বিচারাধীন। কোর্টের নিষেধাজ্ঞার পরে কোন কিছুই করা হয়নি। এই সংবাদ সম্মেলনে ফজলুর রহমান শানু সিকদার ও এসএম নজরুল ইসলাম সিকদার উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য আওয়ামী লীগ আমলে মো. নাসির উদ্দিন ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হিসেবে নিযুক্ত হন। এনিয়ে ফজলুর রহমান শানু সিকদার অনিয়মের অভিযোগ তোলেন।
