আমার জন্য ভালো কিছু অপেক্ষা করছে আমার জন্য ভালো কিছু অপেক্ষা করছে - ajkerparibartan.com
আমার জন্য ভালো কিছু অপেক্ষা করছে

3:28 pm , October 18, 2025

আজকের পরিবর্তনের সাথে একান্ত সাক্ষাতকারে মনিরুজ্জামান ফারুক

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বিভাগের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ বরিশাল সদর আসনে মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে শতভাগ আশা ব্যক্ত করেছেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক। এরপরও যদি মনোনয়ন না পান তাহলে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে শতভাগ আন্তরিকতার সাথে কাজ করবেন। দৈনিক আজকের পরিবর্তনকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা বলেন। মনিরুজ্জামান ফারুক বলেন, বিএনপির সাংগঠনিক অভিভাবক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিজে বলেছেন ‘আমার জন্য পুরষ্কার আছে’। সুতরাং আমি মনে করি সামনে আমার জন্য ভাল কিছু অপেক্ষা করছে। দল কেন, কোন কারণে আপনাকে মনোনয়ন দেবে এমন প্রশ্নের জবাবে এ বিএনপি নেতা বলেন-আমার সাংগঠনিক দক্ষতা, জনসম্পৃক্ততা এবং নীতি ও আদর্শের বিষয়টি বিবেচনা করেই হাইকমান্ড আমার বিষয়টি ভেবে দেখবেন বলে আমি মনে করি। আপনারা জানেন আমাকে পর পর দুইবার আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে যেটা বাংলাদেশে বিরল। আমার কর্মকান্ডে খুশি বিধায় দ্বিতীয়বার দায়িত্ব দিয়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমাদের সাংগঠনিক অভিভাবক তারেক রহমান। মনিরুজ্জামান ফারুক বলেন, দলের যখন ক্রাইসিস মুহূর্ত তখন আমাকে আহবায়ক পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ওই সময় আমাকে প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সময় পার করতে হয়েছে।  বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আগের দিন আমার স্ত্রী মারা যায়। অনেকে আমাকে বলেছেন ‘কর্মসূচি স্থগিত রাখতে কিন্তু আমি শুনিনি। সকল শোক কে বুকেচাপা দিয়ে দলীয় কর্মসূচি সম্পন্ন করেছি। দলে আমার যে ত্যাগ সেটা হাইকমান্ড ভালভাবে জানেন। হাসিনা সরকার পতনের আন্দোলনে আমার ভূমিকা আপনাদের সবার জানা। ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই যখন নেতাকর্মীদের নিয়ে নগরীর সিএন্ডবি রোডে আমরা মিছিল নিয়ে আগাই তখন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে বিপরীত দিক থেকে একটি মিছিল আসে। তারা আমাদের উপর সশস্ত্র হামলা করে। এ সময় অনেকে মোটরসাইকেল নিয়ে আমার সামনে এসে আমাকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছে। আমি বলেছি ‘কর্মীদের মাঠে রেখে কোনভাবেই আমি যেতে পারিনা। এরপর সাদিকের ক্যাডাররা আমাকে এবং সদস্য সচিব জিয়া উদ্দীন সিকদারকে কুপিয়ে সড়কে ফেলে রাখে। আমাদের যখন শেবাচিমে ভর্তি করা হয় সেখানেও এক পর্যায় হামলার প্রস্তুতি নেয় আওয়ামী লীগের লোকজন। খবর পেয়ে আমাকে ঢাকা নিয়ে গোপনে একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেই ক্ষত এখনো শুকায়নি। ঢাকা এবং বরিশালের একাধিক মামলায় আমাকে আসামী করা হয়েছে। গ্রেফতার হয়ে তিনমাস জেল খেটেছি। আমাকে ঢাকার একটি মামলায়ও গ্রেফতার দেখানো হয়। ওই মামলার প্রধান আসামী বিএনপি মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আমার হাতে-পায়ে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে আদালতে আনা-নেওয়া করা হতো। আর কর্মীবান্ধবের কথা যদি বলেন সেখানেও আমার কোন ঘাটতি নেই। আমি আমার সাধ্য মত যখন যা পেরেছি নেতাকর্মীদের সহযোগীতা করেছি। কোন চাঁদাবাজির টাকা না নিজের পকেটের টাকায় আমি রাজনীতি করি এটা আপনারা যারা সংবাদকর্মী আছেন তারাও জানেন। ৫ আগষ্টের পর অনেকের নামে চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের অভিযোগ এসেছে। কিন্তু চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি আমার বিরুদ্ধে কেউ এ ধরণের কোনকিছুর প্রমান দিতে পারবেন না। তাছাড়া মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরাও বিভিন্ন সভা-সমাবেশে আমাকে প্রার্থী করার দাবী জানিয়ে বক্তব্য রাখছেন। আর সাধারণ জনগনের কথা যদি বলেন তাহলে আমি সেক্ষেত্রেও এগিয়ে আছি। কারণ জনগন কোন চাঁদাবাজকে পছন্দ করেনা, অপরাধীকে পছন্দ করেনা। সুতরাং আমি মনে করি দলের প্রতি আমার আনুগত্য, ত্যাগ, সাংগঠনিক দক্ষতা, সততা এবং জনসম্পৃক্তার বিষয়টি বিবেচনা করে প্রার্থীতার বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে দেখবেন। তারপরেও দল যাকে মনোনয়ন দেয় আমি শতভাগ তার পক্ষে কাজ করবো।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT