4:00 pm , July 3, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার ৯ নং জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের ৬ , ৭ ও ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির নেতৃবৃন্দের সাথে বৃহস্পতিবার দুপুরে মতবিনিময় সভা করেছেন সাবেক এমপি ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মেজবাহ উদ্দীন ফরহাদ। জাঙ্গালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সহ সভাপতি আলম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সৈয়দ রফিকুল ইসলাম লাবু, জাঙ্গালিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক তারেক আজিজ , জাঙ্গালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য রফিকুল ইসলাম জমাদ্দার , জাঙ্গালিয়া ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সাকির আহমেদ প্রমুখ । প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেজবাহ উদ্দীন ফরহাদ বলেন, আমি জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে টিআর কাবিখা নিয়োগ বাণিজ্য থেকে সম্পূর্ণভাবে মুক্ত ছিলাম। যার সাক্ষী এলাকার তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মী এবং সাধারণ জনগণ । জনপ্রতিনিধি হিসেবে বিনা টাকায় নি:স্বার্থভাবে বিভিন্ন স্কুল এবং অফিসে শিক্ষিত বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি । জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে বারবার আমার উপর হামলা করেও আমাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। জাতীয়তাবাদী আদর্শ বুকে ধারণ করে জনগণের ভালোবাসা নিয়ে সকল রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে পুলিশ বাহিনীর মামলা-হামলা মাথায় নিয়ে সকল কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেছি । কিন্তু জুলাই আন্দোলনে হাসিনার দু:শাসনের অবসানের পর আমরা দেখতে পেলাম গিয়াস উদ্দিন দীপেন , আসাদুজ্জামান মুক্তা , সালাহ উদ্দীন পিপলু মেহেন্দিগঞ্জ বাজারে ৬ আগস্ট লুটতরাজ চালিয়ে অসহায় ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে । গোবিন্দপুর ইউনিয়নের মিজান মাঝি গোবিন্দপুর চর থেকে ১০ কোটি টাকা অবৈধভাবে আত্মসাৎ করেছে । মিল্টন চৌধুরী ডাক্তার মাহবুবের বাড়ীতে ডাকাতি করে সর্বস্ব লুটে নিয়েছে । এইসব চিহ্নিত সন্ত্রাসী আর ডাকাতদের নেতা হচ্ছে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী রাজীব আহসান । এই রাজীব আহসানকে বিগত ১৭ বছরে এলাকার জনগণ দেখেনি । সাধারণ মানুষের পাশে কখনো সে দাঁড়ায়নি । সে হচ্ছে বসন্তের কোকিল । গত ২৫ বছরে তার বাবার জানাজা ব্যতীত আর কারো জানাজার নামাজে অংশগ্রহণ করেনি । কোন সামাজিক অনুষ্ঠানে তাকে দেখা যায়নি । সুতরাং এলাকার মানুষ তাকে চেনেনা । এই রকম দুধের মাছিকে কেউ জনপ্রতিনিধি হিসেবে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেনা । ইনশাল্লাহ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হতে পারলে এই চাঁদাবাজদের বিচার আপনাদের চোখের সামনেই আমি সম্পন্ন করবো । অতএব আপনারা নির্ভয়ে ধানের শীষকে বিজয়ী করার মাধ্যমে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা স্বাধীনতার ঘোষক বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা সাবেক রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান এর সহধর্মিণী বিএনপি চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমনমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং তাঁর সুযোগ্য সন্তান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সাংগঠনিক অভিভাবক তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে জনবান্ধব কার্যক্রম পরিচালনা অব্যাহত রাখুন । বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত।