মঠবাড়িয়ার টিয়ারখালী-দুর্গাপুর রাস্তার কাজ ফেলে ঠিকাদার উধাও ॥ জনদুর্ভোগ চরমে মঠবাড়িয়ার টিয়ারখালী-দুর্গাপুর রাস্তার কাজ ফেলে ঠিকাদার উধাও ॥ জনদুর্ভোগ চরমে - ajkerparibartan.com
মঠবাড়িয়ার টিয়ারখালী-দুর্গাপুর রাস্তার কাজ ফেলে ঠিকাদার উধাও ॥ জনদুর্ভোগ চরমে

4:10 pm , June 30, 2025

শাকিল আহমেদ, মঠবাড়িয়া প্রতিবেদক ॥ মঠবাড়িয়ার গুলিশাখালী ইউনিয়নের টিয়ারখালী-দুর্গাপুর গ্রামের প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তার কাজ ফেলে ঠিকাদার উধাও হয়ে গেছে। এতে করে গত তিনবছর ধরে কয়েক হাজার গ্রামবাসীর জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। নির্মাণাধীন রাস্তার কাজ সমাপ্ত না করায় এলাকাবাসীর মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, তিনবছর পূর্বে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার রাস্তা খুড়ে ইটের খোয়া ফেলে রাখে। এরপর রোলার দিয়ে চাপা না দেওয়ায় গাড়িতো ভালো রাস্তা দিয়ে পায়ে হাটাও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। সরেজমিন ঘুরে দেখাগেছে, মঠবাড়িয়ার টিয়ারখালী বাজার থেকে দুর্গাপুর পর্যন্ত রাস্তাটি কার্পেটিংয়ের জন্য ঠিকাদার রাস্তা খুড়ে বালু ভরাট দিয়ে ইটের খোয়া ফেলে রাখে। এরপর রোলার দিয়ে ইটের খোয়াগুলো চাপা না দিয়েই ঠিকাদার কাজ ফেলে চলে যায়। যার কারণে গত তিনবছর খোয়ার উপর দিয়ে চলাচলে এলাবাসীর দারুণ দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এমনকি ওই রাস্তায় কোন গাড়ি না ঢোকায় গর্ভবর্তী মায়েদের কষ্টের সীমা থাকেনা। টিয়ারখালীর বাসিন্দা ব্যবসায়ি আজম খান জানান, টিয়ারখালীর এই রাস্তাটি দিয়ে টিয়ারখালী, দুর্গাপুর, লক্ষ্মণা ও কুমিরমারা গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করে। গ্রামগুলো ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় টিয়ারখালী-দুর্গাপুর রাস্তাটি খুবই জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। কিন্তু ঠিকাদার তিনবছর ধরে রাস্তার কাজ বন্ধ রাখায় এলাবাসীর দুর্ভোগ চরম আকারে ধারণ করছে।
একই এলাকার রফিকুল আলম রাসেল মৃধা জানান, টিয়ারখালী-দুর্গাপুর রাস্তাটি দিয়ে শুধু জনসাধারণই নয়, টিয়ারখালী আব্দুল মজিদ মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েক’শ শিক্ষার্থী চলাচল করে। দুর্গাপুরের বাসিন্দা কামাল পহলান জানান, ঠিকাদারের খামখেয়ালীর কারণে রাস্তাটির এ বেহাল দশা। বর্তমানে অনেক স্থানের খোয় মাটির মধ্যে দেবে দিয়ে কাদায় একাকার হয়ে গেছে। তাছাড়া দেশের পট পরিবর্তনের পর ঠিকাদার উধাও হয়ে গেছে। এখন আদৌ এ রাস্তা হবে কি না আমাদের জানা নেই।
সাবেক ছাত্রনেতা শফিকুল ইসলাম জানান, ঠিকাদার হিসেবে রাস্তাটির কাজ করেছেন পাশর্^বর্তী টিকিকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপন জমাদ্দার। তিনি আওয়ামীলীগের প্রভাব খাঁটিয়ে রাস্তার কাজে নয়-ছয় করেছেন। বর্তমানে ৫ আগষ্টের পর তিনি আত্মগোপনে আছেন। তিনি আরো জানান, বছরের পর বছর রাস্তার কাজ ফেলে রাখায় অনেক জায়গার খোয়া রাস্তায় দেবে গিয়ে জনসাধারণের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানাগেছে, রাস্তার কাজটি ভন্ডারিয়ার ইফতি এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পান। যার স্বত্ত্বাধিকারী ভান্ডারিয়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম। ৫ আগষ্ট দেশের পট পরিবর্তনের পর তাদের আর দেখা মিলছেনা।  এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী জিয়ারুল ইসলাম জানান, দেশের পট পরিবর্তনের পর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন আত্মগোপনে থাকায় রাস্তার অসামপ্ত কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT