4:00 pm , June 28, 2025

খবর বিজ্ঞপ্তি ॥ অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) সোহরাব হোসেন বলেছেন, ভোক্তার অধিকার নিশ্চিত করার জন্য ব্যবসায়ীদের নীতি নৈতিকতা সম্পন্ন ও স্বচ্ছ থাকতে হবে। পণ্যের ভেজাল আমাদের মধ্যে সার্কেলে রুপান্তরিত হয়েছে। কোন ব্যবসায়ীও ভেজাল খাদ্য ভোগ করা থেকে রক্ষা পায় না। ব্যবসায়ী একজন ভোক্তাও। ভেজাল খাদ্য গ্রহণের জন্য ক্যান্সার, লিভার সিরোসিস, কিডনি ডিজিজ, থ্যালাসেমিয়াসহ বিভিন্ন মরনব্যাধি রোগ দেখা দিয়েছে। খাদ্যে ভেজাল দেওয়া মারাত্মক অপরাধ, এটা একজন ব্যবসায়ীর জানতে হবে।
গতকাল ২৮ জুন বরিশাল সার্কিট হাউজ সভাকক্ষে ‘ভোক্তা-স্বার্থ রক্ষায় বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে উপ পুলিশ কমিশনার মো: শরফুদ্দীন বক্তৃতা করেন। এসময় সেনাবাহিনীর সিইও লে. কর্নেল মেহেদী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুম বিল্লাহ, র্যাব-৮ এর সহকারী পরিচালক (অপারেশন অফিসার) অমিত হাসান উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, ভোক্তা-স্বার্থ সংরক্ষণে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় সকলের কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। আইনের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের জনবল বাড়ানোসহ জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কার্যকর প্রচারণা বৃদ্ধি করতে হবে। স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনসচেতনতামূলক বার্তা ছড়ানো প্রয়োজন।বাজারে পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে আরও কঠোর মনিটরিং দরকার।
এছাড়াও ব্যবসায়ীদের মধ্যে নৈতিকতা ও সামাজিক দায়বদ্ধতা তৈরি করতে হবে। পণ্যে ভুল তথ্য দেওয়া, দাম বাড়িয়ে বিক্রি, ভেজাল দেওয়া-এসব যেন লজ্জার বিষয় হয়ে দাড়ায়, এমন একটা সামাজিক রীতি গড়ে তুলতে হবে। দায়িত্বশীল ও স্বচ্ছ ব্যবসা সংস্কৃতি গড়তে হলে পারিবারিকভাবে সুশিক্ষিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠীও দরকার।
উন্মুক্ত আলোচনায় সকলের উদ্দেশ্যে জানানো হয়, চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে আকৃষ্ট না হয়ে পণ্য ও সেবা ক্রয়ের পূর্বে দেখে শুনে বুঝে ক্রয় করা একজন সচেতন ও দায়িত্বশীল ভোক্তার পরিচয়।