4:20 pm , June 23, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশালের সম্মানিত সনাতন (হিন্দু) ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে যাতে কোন ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি না হয় সেজন্য জানানো যাচ্ছে, ২০২৪ সালের ১৮ অক্টোবর কাউনিয়াস্থ বরিশাল মহাশ্মশান রক্ষা কমিটি গঠনের লক্ষ্যে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাধারন সভা আহবান করা হয়। সভায় মহানগর পূজা পরিষদের সভাপতি ও সম্পাদক সহ বেশ কিছু সম্মানিত নাগরিক উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু সভা শুরুর পূর্বেই উপস্থিত অধিকাংশ ব্যক্তি সভাপতি ও সম্পাদক পদের জন্য শ্লোগান দেয়া ও হট্টগোল শুরু করে এবং অতীতে যেভাবে কমিটি গঠিত হত তার পুনরাবৃত্তি করতে চান। এ অবস্থায় পুলিশ ও সেনা বাহিনীর হস্তক্ষেপে উপস্থিত সকলেই সভাস্থল ত্যাগ করতে বাধ্য হন।
পরবর্তিতে সভায় উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ বিশিষ্ট সমাজসেবী বিজয় কৃষ্ণ দে এর কাছে গিয়ে কি করনীয় তা পরামর্শ চান। উদ্ভৃত পরিস্থিতি থেকে উত্তরনের জন্য বিজয় কৃষ্ণ দে’র উপস্থিতিতে ও পরামর্শে সে সময়ে এ্যাড. মানবেন্দ্র বটব্যালকে আহবায়ক ও সাংবাদিক সুশান্ত ঘোষকে সদস্য সচিব করে অর্ধাশতাধিক ব্যক্তি সমন্বয়ে একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। আহবায়ক কমিটিকে নতুন একটি পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করার দায়িত্ব দেয়া হয়। নতুন বাজারের সুগন্ধা পোল্ট্রির মালিক অসীম কুমার দাস (মুরালী) ও কাউনিয়ার বিজয় ভক্তও কমিটির সদস্য ছিলেন। কিন্তু ওই সময়ে শ্মশান দীপাবলী ও শ্মশান শ্যামা পূজা আসন্ন থাকায় সকলের মধ্যে সৌহার্দপূর্ন পরিবেশ বজায় রাখার জন্য কোন পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়নি। তবে আহবায়ক কমিটির সিদ্ধান্তে সফলভাবে শ্মশান দীপাবলী ও শ্যামা পূজা সহ শ্মশানের সকল অনুষ্ঠানাদি সম্পন্ন হতে তাকে।
আহবায়ক কমিটি নতুন পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করার প্রস্তুতি নিলে দেখা যায় সংগঠনটির কোন গঠনতন্ত্র নেই। তাই আহবায়ক কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয় একটি খসড়া গঠনতন্ত্র প্রস্তুত করে এবং প্রস্তাবিত গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সদস্য সংগ্রহ করে সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে গঠনতন্ত্র অনুমোদন করার পর গঠনতন্ত্রের বিধানাবলী অনুসরন করে নতুন পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে। এই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে গঠনতন্ত্রের খসড়া তৈরী করে আহবায়ক কমিটির পরপর কয়েকটি সভায় খসড়া সভায় গঠনতন্ত্রের পরিবর্তন, পরিমার্জন, সংশোধন, সংযোজন পর্ব চলছে। কিন্তু একজনও আনুষ্ঠানিকভাবে সদস্য হননি বা আহবায়ক কমিটির উদ্যোগে কোন সাধারন সভা অনুষ্ঠিত হয়নি বা কমিটিও গঠন করা হয়নি।
কিন্তু ২২ জুন ২৫ তারিখের স্থানীয় সংবাদপত্রে দেখা যায় আহবায়ক কমিটির সদস্য অসীম কুমার দাস (মুরালি) ও বিজয় ভক্ত নিজেদেরকে শ্মশান রক্ষা কমিটির সভাপতি ও সম্পাদক প্রচার করে বরিশালের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ সাবেক সাংসদ ও মেয়র মজিবর রহমান সরোয়ারকে ফুলের তোড়া দিচ্ছেন। আমাদের বিশ্বাস মজিবর রহমান সরোয়ার পূর্ববর্ণিত ঘটনাবলী সম্পর্কে কিছুই অবহিত নন। তাই আমরা দৃঢ় কন্ঠে বলতে চাই সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরটি অসীম কুমার দাস মুরালী ও বিজয় ভক্ত নিজেদেরকে জাহির করার জন্য করেছেন। আমরা এ ধরনের কর্মকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলতে চাই এখনও আহবায়ক কমিটি সক্রিয় আছে।