বাকেরগঞ্জ থানার এসআই আলমগীরের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ বাকেরগঞ্জ থানার এসআই আলমগীরের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ - ajkerparibartan.com
বাকেরগঞ্জ থানার এসআই আলমগীরের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ

3:59 pm , June 23, 2025

বাকেরগঞ্জ প্রতিবেদক ॥ বাকেরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে এক প্রাইভেটকার চালককে মাদক দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টাসহ বিস্তর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় জেলা পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নিয়ামতি ইউনিয়নের মধ্য মহেশপুর গ্রামের ভুক্তভোগী মোশাররফ হোসেন ব্যাপারীর স্ত্রী নাছিমা বেগম।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, নাছিমা বেগমর স্বামী মোশাররফ  ঢাকায় ভাড়ায় প্রাইভেটকার চালায়। তিনি ঈদের ছুটিতে ঢাকা থেকে বাড়িতে এলে গত ১ জুন রাত ১১ টায় তার বাড়িতে যায় এসআই আলমগীরসহ তিন পুলিশ সদস্য। ওই রাতে জোরপূর্বক তার ঘরে সাদা পোশাকে পুলিশের দুই সোর্স প্রবেশ করে তার স্বামীকে টানাটানি করে ঘরের বাইরে নামানোর চেষ্টা করে। তিনি প্রতিবাদ জানালে পরবর্তীতে এসআই আলমগীর আরো দুইজন সাদা পোশাকধারী কনস্টেবলের সহযোগিতায় তার হাতে হ্যান্ডকাফ পরায়। খবর পেয়ে স্থানীয়রা তার বাড়িতে জড়ো হয়ে পুলিশের কাছে জানতে চায় তাকে গ্রেপ্তার করার কারণ কি? এ সময় এসআই আলমগীর বলেন, তার ঘরে মাদক রয়েছে। তাই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তখন এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে পুলিশ ঘর তল্লাশি করে মাদকের কোন অস্তিত্ব পায়নি। পরে এলাকাবাসীর তোপের মুখে এসআই আলমগীর মোশাররফের হাতের হ্যান্ডকাফ খুলে দেয়।
এসআই আলমগীর মাদক দিয়ে ড্রাইভারকে ফাঁসানোর চেষ্টা করায় পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী নারী নাছিমা বেগম।
নিয়ামতি ইউনিয়নে মধ্য মহেশপুর গ্রামের প্রবাসী আব্দুল জলিল জোমাদ্দারের স্ত্রী ভুক্তভোগী মাহিনুর বেগম জানান, হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে গায়ের জোরে মামলাভুক্ত জমি নানাভাবে জবর দখল করেছে তাদের প্রতিপক্ষ জাহাঙ্গীর চৌকিদার। ওই ঘটনার বিষয় তিনি বাকেরগঞ্জ থানায় দুইটি লিখিত অভিযোগ দিলে অভিযোগ তদন্তে যায় এসআই আলমগীর। লিখিত অভিযোগ তদন্তের নামে এসআই আলমগীর প্রবাসীর স্ত্রীর বাড়িতে তিনবার গিয়ে তার কাছ থেকে তদন্তের খরচের নামে ৩ হাজার ৫শ টাকা নিয়েছেন। তদন্তের নামে খরচের টাকা নিলেও তিনি কোন আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি।
এ বিষয়ে এসআই আলমগীর বলেন, আমার বিরুদ্ধে জেলা পুলিশ সুপারের নিকট লিখিত অভিযোগ হয়েছে বলে শুনেছি। আমি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মোশাররফ ব্যাপারীর বাড়িতে মাদক উদ্ধারের অভিযান পরিচালনা করি। কিন্তু তার ঘরে কোন মাদক না পাওয়ায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। একজন নিরপরাধ লোককে মাদক উদ্ধারের আগেই কেন হ্যান্ডকাফ পরানো হলো এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি নিশ্চুপ থাকেন।
বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ বলেন, এসআই আলমগীরের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ হয়েছে। আরো কিছু অভিযোগ আপনাদের মাধ্যমে শুনেছি।সেগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জেলা পুলিশ সুপার শরিফ উদ্দিন বলেন, নাছিমা বেগমের লিখিত অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। থানার কোন অফিসার দুর্নীতিগ্রস্ত হলে কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT