বাকেরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সাবেক ডিজিএম ও ২ ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বাকেরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সাবেক ডিজিএম ও ২ ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে - ajkerparibartan.com
বাকেরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সাবেক ডিজিএম ও ২ ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

3:18 pm , June 21, 2025

১৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশালের বাকেরগঞ্জে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সাবেক ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মোট ১৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে বরিশাল অতিরক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআই কে তদন্তের নির্দেশ দেন।  মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, বাদী লোকমান সিকদার উপজেলার বোয়ালিয়া বাজারের দেশ টেলিকম নামে একটি বিকাশ এর ব্যবসা পরিচালনা করছেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি স্থানীয় কয়েকটি গ্রামের মানুষের বিদ্যুৎ বিল গ্রহণ করে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের নিজস্ব ভবনে অবস্থিত ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের বুথে জমা দিয়ে আসছিলেন।
২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত প্রায় ৪০ লাখ ৩১৯ টাকা ওই ব্যাংক এর বুথে জমা দিয়েছেন এবং প্রতিবার রশিদ গ্রহণ করেছেন। বুথটির দায়িত্বে ছিলেন ব্যাংক কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন।
তবে চলতি বছরের জানুয়ারিতে একাধিক গ্রাহক অভিযোগ করেন, পূর্বে বিল পরিশোধ করা সত্ত্বেও পুনরায় সেই বকেয়া বিল আসছে কেন। বিষয়টি জানতে লোকমান ব্যাংক বুথে গেলে জানতে পারেন, ৪০ লাখ টাকার মধ্যে মাত্র ২৮ লাখ টাকা জমা হয়েছে, বাকি টাকার হদিস নেই। সাজ্জাদ বিষয়টি আঁচ করে চুপিসারে চট্টগ্রামে অন্য একটি শাখায় বদলি হয়ে যান।
লোকমান পরবর্তীতে বিষয়টি তৎকালীন ডিজিএম গোবিন্দ চন্দ্র দাসকে জানান। তিনি প্রাথমিকভাবে অফিসে জমা থাকা বিলের পুরনো কাগজপত্রে গড়মিল  পেয়ে লিখিত অভিযোগ করতে বলেন। অভিযোগ করার পর কিছুদিনের মধ্যে ডিজিএম জানান, এটা ব্যাংকের বিষয়, আপনি ব্যাংক ম্যানেজারের কাছে আবেদন করুন।”
পরবর্তীতে লোকমান ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের বরিশাল পোর্ট রোড শাখা ম্যানেজারের কাছে আবেদন করলে ঈদের একদিন পূর্বে সাজ্জাদ ও লোকমানের মধ্যে মুখোমুখি বৈঠকের দিনক্ষণ নির্ধারণ হয়। তবে অজ্ঞাত কারণে ব্যাংক ম্যানেজার বিষয়টি এড়িয়ে যান। অভিযোগ রয়েছে, ব্যাংক ম্যানেজার, সাজ্জাদ ও পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম মিলে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন এবং উল্টো লোকমানকে অবশিষ্ট টাকা দ্রুত পরিশোধের জন্য চাপ দিতে থাকেন।
চরম আর্থিক চাপে পড়ে লোকমান জমি-জমা বিক্রি করে প্রায় ১২ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। অবশিষ্ট সামান্য টাকা পরিশোধে সময় চেয়ে অনুরোধ জানালেও ডিজিএম বদলি হয়ে যান এবং ওই ব্যাংক বুথটি বন্ধ হয়ে যায়।
এরপর লোকমান সিকদার বাদী হয়ে বরিশালের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন- ব্যাংক কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন, মেজবা উদ্দিন এবং পল্লী বিদ্যুতের সাবেক ডিজিএম গোবিন্দ চন্দ্র দাস।
এসব বিষয়ে বর্তমান ডিজিএম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি নতুন এসছি, এ বিষয়ে আমি অবগত না।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT