মঠবাড়িয়ায় স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুক মামলা করে বিপাকে স্ত্রী মঠবাড়িয়ায় স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুক মামলা করে বিপাকে স্ত্রী - ajkerparibartan.com
মঠবাড়িয়ায় স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুক মামলা করে বিপাকে স্ত্রী

2:59 pm , June 19, 2025

মঠবাড়িয়া প্রতিবেদক ॥ মঠবাড়িয়ায় বন প্রহরী স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুক মামলা করে বিপাকে পড়েছেন সাদিয়া আক্তার ভুলু (২৯) নামে এক গৃহবধূ। উপকূলীয় বন বিভাগ পাথরঘাটা রেঞ্জের চরলাঠিমারা বিটের বন প্রহরী আমিনুল ইসলাম মামলা তুলে নিতে অব্যাহত হুমকি দিচ্ছেন। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ওই গৃহবধূ। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ মঠবাড়িয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন।
জানাগেছে, প্রতিবেশী এক আত্মীয়ের মাধ্যমে পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে ২০১৭ সালে মঠবাড়িয়ার পূর্ব ফুলঝুড়ি গ্রামের ইসমাইল হোসেনের মেয়ে অনার্স পাস করা মেয়ে সাদিয়া আক্তার ভুলুর সাথে পটুয়াখালী জেলার বাউফলের গুছাকাঠী গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে বন প্রহরী আমিনুল ইসলামের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় আমিনুল নিজেকে অবিবাহিত ও থানার সাব ইন্সপেক্টর পরিচয় দিলেও স্বামীর কর্মস্থল ভোলার তজুমুদ্দিনের বনবিভাগের শশীগঞ্জ ক্যাম্পে যাওয়ার পর স্ত্রী জানতে পারেন তার স্বামীর আরো স্ত্রী-সন্তান রয়েছে এবং সে পুলিশের এসআই নয় বন বিভাগের বন প্রহরী। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হয়। প্রতারণা করে বিয়ে করার প্রতিবাদ করায় ২০২১ সালের ১৮ আগস্ট দৌলতখান ভাড়াটিয়া বাসায় নির্যাতনের এক পর্যায় আমিনুল স্ত্রীর তলপেটে লাথি মারলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার ৩ মাসের ভ্রুন (বাচ্ছা) নষ্ট হয়ে যায়। গৃহবধূ বলেন, এত অত্যাচারের পরও আমি স্বামীর সাথে সংসার করতে থাকি। কিছুদিন পর আমিনুল প্রথম স্ত্রীকে তালাক ও ভুলুকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে বাবার বাড়ি থেকে ৬ লক্ষ টাকা আনার জন্য চাপ দেয়। পরে সুখের কথা চিন্তা করে স্ত্রী ভুলু আক্তার ৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা  দেয়। দরিদ্র পিতার পক্ষে বাকী টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে শারীরিক নির্যাতন শুরু করে। এ ঘটনায় পিরোজপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করলে ওই মামলায় ১৭ দিন হাজত বাস করার পর জামিনে বেরিয়ে সবার অনুরোধে ঘর সংসার শুরু করে ভুলু। কিন্তু  পুনরায় নির্যাতন করে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় স্ত্রী ভুলুকে। বিষয়টি গৃহবধু বন বিভাগের প্রধান বন সংরক্ষকসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করলেও কোন ফল হয়নি।
এদিকে বাবার বাড়িতে থাকা ওই গৃহবধূকে মুঠোফোনে স্বামী আমিনুল মামলা তুলে নিতে হুমকী দিচ্ছে।
এমনকি বিভিন্ন বখাটেদের কাছে নাম্বার দিয়ে উত্যক্ত করছে। অভিযুক্ত আমিনুল ইসলাম স্ত্রীর আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার লম্পট স্ত্রী আমাকে তিন তিনটি মামলা দিয়ে হয়রানি এবং আমার বিরুদ্ধে উর্ধ্বতন মহলে লিখিত অভিযোগ দিয়ে মান সম্মান ক্ষুন্ন করছে।
অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জিডির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে  তদন্ত চলছে।
উপকূলীয় বন বিভাগ পাথরঘাটা রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা আজাদুল কবির বলেন, বিষয়টি তদন্তানাধীন আছে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT