4:13 pm , June 17, 2025

রিয়াদ মাহমুদ সিকদার, কাউখালী প্রতিবেদক ॥ কাউখালীতে বাশের সাকো ভেঙ্গে খালে পড়ে যাওয়ায় এলাকাবাসীর যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে। উপজেলার শিয়ালকাঠী ইউনিয়নের পাঙ্গাশিয়া খালের উপর ঝুকিপূর্ণ বাশের সাকো ভেঙ্গে যাওয়ায় অত্র এলাকার জনসাধারণ, ছাত্র-ছাত্রী সহ সকল শ্রেণী প্রেশার মানুষের পারাপারে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
শিয়ালকাঠী ইউনিয়নের ফলইবুনিয়া গ্রামের কাছারি বাড়ির খালের মোহনায় পাঙ্গাশিয়া খালের উপর নির্মিত বাশ ও সুপারি গাছের ঝুঁকিপূর্ণ সাকোর দুই পাশের অংশ খালের মধ্যে পড়ে গেছে।
দীর্ঘ বছর ধরে সংষ্কার না হওয়ায় এ অবস্থার তৈরী হয়েছে। সম্প্রতি নি¤œচাপ শক্তির প্রভাবে অতিরিক্ত পানির চাপে সাকোটির মাঝের অংশ ভেঙ্গে পানিতে ভেসে যায়। বিকল্প পথ না থাকায় মানুষ পারাপারে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
কাউখালীর- বেকুটিয়া নতুন বাজার থেকে ফলইবুনিয়া,জোলাগাতী, তালুকদার হাট, হাওলাদার হাট সহ জোলাগাতী ফাজিল মাদ্রাসা, জোলাগাতি হাই স্কুল, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রয়েছে খালের দক্ষিণ পাড়ে। ফলে শিক্ষার্থীরা সঠিক সময় বিদ্যালয়ে যেতে পারছে না। এছাড়া দক্ষিণ পাড়ে শিশুদের জন্য রয়েছে নূরানী মাদ্রাসা, হেফজখানা ও ছাত্রাবাস। খালের দক্ষিণ পাড়ের লোকজনকে কলেজ উপজেলা ও জেলা সদরে যেতে হলে এই সাকোটি তাদের একমাত্র ভরসা। কারণ বেকুটিয়া সেতু পশ্চিম পাড়ে পিরোজপুর জেলা শহর এবং পূর্ব পাড়ে কাউখালী উপজেলা পরিষদ, কাউখালী থানা, কলেজ, হাসপাতাল অবস্থিত। অথচ এতো গুরুত্বপূর্ণ একটি বাশের সাকো অপসারণ করে ব্রীজের দাবিতে মানববন্ধন, স্থানীয় এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান সহ কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার আবেদন করলেও কোন কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মেহেদী হাসান বলেন, পাঙ্গাশিয়া খাল পারাপারের জন্য এই স্থান থেকে খালের পশ্চিম দিকে তিন কিলোমিটার দূরে বাজারের ব্রিজ এবং পূর্বদিকে দুই কিলোমিটার দূরে বেলতলা ব্রিজ ছাড়া পারাপারের জন্য বিকল্প কোন ব্রিজ না থাকায় এই সাকোই ছিল মানুষের শেষ ভরসা। এ কারণে স্থানীয়রা জরুরী প্রয়োজনে নিজেরা গ্রাম থেকে বাস, সুপারি গাছ সংগ্রহ করে ও স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে দীর্ঘ বছর সাকোটি বাঁচিয়ে রেখেছিল।
স্থানীয় বাসীন্দা মাওলানা মো: মানিক বলেন, বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ণা দিয়েও স্থায়ীভাবে কোন কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারিনি।
উপজেলা প্রকৌশলী ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, নতুন ব্রিজ নির্মাণের জন্য কোন পরিকল্পনা নেই।
ইউপি চেয়ারম্যান গাজী সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এই সাকোটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করেও স্থায়ীভাবে কোন ব্রিজ নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারিনি। মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল মোল্লা অত্র এলাকা পরিদর্শন করে মরামতের আশ^াস দিয়েছেন।