4:13 pm , June 17, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ সিমা আক্তারের বয়স যখন মাত্র ১০ বছর তখন তার বাবা-মা দুজনেই অন্যত্র বিয়ে করেন। এর পর অসহায় হড়ে পড়ে সে। বাঁচার তাগিদে প্রতিবেশীদের সহযোগীতায় এক ব্যক্তির বাসায় গৃহ পরিচারিকার কাজ নেয় সিমা। দীর্ঘ ১৬ বছর একই বাসায় কাজ করে আসছিলো। কিন্তু মাস তিনেক আগে জটিল রোগে অক্রান্ত হয় বাবা-মা হারানো সিমা আক্তার। শরীরে ধরা পড়ে অ্যাপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া নামে জটিল রোগ। ইতিমধ্যে তার বোন ম্যারো অকেজো হয়ে গেছে। যে বাসায় কাজ করতো তাদের সহায়তা এবং অন্যান্যদের সহযোগীতায় এতদিন চিকিৎসা চললেও বর্তমানে তা বন্ধ। ইতিপূর্বে বিভিন্ন হাসপাতালে তার চিকিৎসা চালিয়েছেন গৃহকর্তা জসিম উদ্দীন আহমেদ। কিন্তু তিনিও এখন নিরুপায়। প্রতিদিন কয়েক হাজার টাকার ওষুধ প্রয়োজন হয়। টাকার অভাবে যা কেনা সম্ভব না। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করতে ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকার প্রয়োজন। যা এই অসহায় দরিদ্র সিমার পক্ষে যোগার করা কোনমতেই সম্ভব না। তাইতো সমাজের বিত্তবানদের কাছে হাত পাতা ছাড়া কোন উপায় নেই এতিম সিমা আক্তারের। বর্তমানে বিনা চিকিৎসা আর ওষুধের অভাবে বিছানায় ছটফট করছেন সিমা আক্তার। তার বাসা নগরীর বরিশাল নগরীর টেক্সটাইল এলাকায়। কোন সহৃদয় ব্যক্তি যদি সিমাকে সহযোগীতা করতে চান তাহলে এই নম্বরে বিকাশ করার অনুরোধ রইলো (০১৭১২২১০৫২৪)।