চরফ্যাসনে গ্রেপ্তারের পর দুই মামলার আসামীকে ছেড়ে দিলো পুলিশ চরফ্যাসনে গ্রেপ্তারের পর দুই মামলার আসামীকে ছেড়ে দিলো পুলিশ - ajkerparibartan.com
চরফ্যাসনে গ্রেপ্তারের পর দুই মামলার আসামীকে ছেড়ে দিলো পুলিশ

4:06 pm , June 16, 2025

চরফ্যাসন প্রতিবেদক ॥ চরফ্যাসনের দুলারহাটে হত্যা চেষ্টা ও চাঁদাবাজীসহ পৃথক দুই মামলার আসামীকে গ্রেপ্তারের পর মোটা অংকের বিনিময়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে দুলারহাট থানার ওসির বিরুদ্ধে। তবে ওসির দাবী, আসামী বয়ষ্ক ও অসুস্থ হওয়ায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আদালতে না পাঠিয়ে আসামীকে ছেড়ে দেয়ার বৈধতা আছে কিনা এমন প্রশ্নের কোন উত্তর দিতে পারেননি ওসি। গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে ছেড়ে দেয়ায় আতংক ছড়িয়ে পড়েছে বাদী ও সাক্ষীদের পরিবারের মধ্যে। থানা থেকে মুক্তি পেয়ে মামলা তুলে নিতে আসামীদের অব্যাহত হুমকি দিচ্ছে।
রোববার রাতে পৃথক দুই মামলার আসামী খোকন মাঝিকে উপজেলার দুলারহাট থানার আহাম্মদপুর ইউনিয়নের চৌকিদার খাল বাজার এলাকার তার নিজ বাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে  গত ৩০ জানুয়ারী ইব্রাহীম এর উপর আসামী সারোয়ার ও খোকন মাঝির নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। এঘটনায় দুলারহাট থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ অভিযুক্তদের সঙ্গে আঁতাত করে মামলা নেয়নি। পরে তিনি নিরুপায় হয়ে ১ জুন বাদী হয়ে আদালতে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মামলার দায়ের করেন।
অপর দিকে আসামী শাহে আলম বাবুল ও খোকন মাঝি মৎস্য ব্যবসায়ী ইউসুফ বেপারীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে আসছিলেন। পরে গত ১ এপ্রিল আসামীরা তার কাছ থেকে ৩ লক্ষ টাকা নেয়। বাকী টাকার জন্য প্রায় সময় হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিলেন। তিনি তাদের দাবীকৃত চাঁদার বাকী ৭ লাখ টাকা দিতে অস্বীকার করলে গত ২৪ মে শাহে আলম বাবুল ও খোকনের নেতৃত্বে ওই বাজারে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারধর করে গুরুতর জখম করে। পরে তিনি বাদী হয়ে গত ২৯ মে শাহে আলম বাবুল ও খোকনসহ ১৩ জনকে আসামী করে মামলা করেন।
আদালত ওই দুটি মামলা রেকর্ডভুক্ত করে আসামীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য দুলারহাট থানা পলিশকে নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে দুলারহাট থানা পুলিশ পৃথক মামলা দুটি রেকর্ডভুক্ত করলেও আসামীদের গ্রেপ্তারে গড়িমসি করে। রোববার রাতে আসামীকে গ্রেফত্রা করলেও পরে ছেড়ে দেয়।
মামলার বাদী ইউসুফ ও ইব্রাহীম অভিযোগ করে বলেন, আসামীদের সঙ্গে থানা পুলিশের সখ্যতা রয়েছে। মামলার ১৮ দিন পর খোকন মাঝিকে গ্রেপ্তার করে দুলারহাট থানা পুলিশ। মোটা অংকের টাকা নিয়ে অসুস্থ দেখিয়ে ছেড়ে দেয়।
দুলারহাট থানার ওসি আরিফ ইফতেখার বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামী খোকন পুলিশ হেফাজতে অসুস্থ্য হয়ে পড়ায় তাকে মুচলেকায় মুক্তি দেয়া হয়েছে। সুস্থ্য হলে তিনি স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করবেন।
ভোলা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শরীফুল হক বলেন, গ্রেপ্তারের পর একজন অফিসার ইনচার্জ আসামীকে মুচলেকায় মুক্তি দিতে পারেন। তবে কি কারণে ওই আসামীকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে তা জানতে হবে।
চরফ্যাসন আদালতের অতিরিক্ত পিপি হযরত আলী বলেন, রেকর্ডভুক্ত মামলার আসামীকে গ্রেপ্তারের পর থানা হেফাজত থেকে ছেড়ে দেয়ার কোন বৈধতা পুলিশের নেই।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT