3:46 pm , June 2, 2025

মুলাদী প্রতিবেদক ॥ মুলাদীতে নদী ভাঙ্গন থেকে বসতভিটা, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, হাট-বাজার রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা। গতকাল সোমবার বেলা ১২টার দিকে উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের হাজি সৈয়দ বদরুল হোসেন কলেজের পশ্চিম পাশে ভাঙ্গনকবলিত এলাকায় এই মানববন্ধন করা হয়। ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচীতে সফিপুর ইউনিয়নের সহস্রাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ বদরুল হোসেন কলেজের অধ্যক্ষ আ স ম শাহাদাৎ হোসেন, নাজিরপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক বিএম শহীদুল ইসলাম মাখন, সফিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আলী হোসেন সোহাগ, সফিপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মজনুু মুন্সী, জাকির হোসেন বাঘা, কামাল হোসেন ব্যাপারী, এসএম কলিমুল্লাহ, উপজলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নিপু চৌধুরী, যুবদল নেতা সোহেল সরদার, নাসির উদ্দীন, বাবুল হাওলাদার, হিরণ হাওলাদার, মুদাচ্ছির কাশিত, নাদিম হাওলাদার প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আড়িয়াল খাঁ ও জয়ন্তী নদীর ভাঙ্গনে গত দুইমাসে কমপক্ষে ৫শ পরিবার ভিটেমাটি হারিয়েছে। ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হওয়ায় দুই সহস্রাধিক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নদী ভাঙ্গনের হুমকির মুখে পড়েছে সৈয়দ বদরুল হোসেন কলেন, সফিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সফিপুর ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, মন্দির, মাদ্রাসা, হাট-বাজারসহ অনেক স্থাপনা।
নাজিরপুর ইউনাইটেড কলেজের সহকারী অধ্যাপক বিএম শহীদুল ইসলাম মাখন বলেন, আড়িয়াল খাঁ নদের ভাঙ্গনে সফিপুরের বালিয়াতলী, ব্রজমোহন, ঘুলিঘাট, লক্ষ্মীপুর গ্রামের অনেক বাড়িঘর ভেঙ্গে গেছে। অনেক এলাকার শতবছরের ঐতিহ্য স্থাপনা বিলীন হয়ে যাচ্ছে। নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ভাঙ্গন বৃদ্ধি পেয়েছে এবং দিন দিন ইউনিয়নের মানচিত্র ছোট হচ্ছে।
উপজেলা পরিষদের প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন জানান, নদী ভাঙ্গনের বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় স্থাপনা রক্ষায় দ্রুত নদী ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাবুগঞ্জ উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মুশফিকুর রহমান শুভ বলেন, বর্ষায় পানি বৃদ্ধির ফলে নদী ভাঙ্গন কিছুটা বেড়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের জরুরি তহবিল থেকে বরাদ্দ দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার ভাঙ্গন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।