3:38 pm , May 24, 2025

চরফ্যাসন প্রতিবেদক ॥ চরফ্যাসনে চরের জমি দখল নিয়ে অর্ধশত কৃষককে মারধর ও কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ইউনিয়ন বিএনপির ৩ নেতার বিরুদ্ধে। মারধরে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে বরিশালে পাঠিয়েছেন। এই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে আহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. আইয়ুব আলী জানিয়েছেন।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার আহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওর্য়াড চৌকিদার বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্তরা হলেন- একই ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক কবির মোল্লা, সাংগঠনিক সম্পাদক বাবলু মাষ্টার ও বিএনপি নেতা হোসেন মৌলভী।
আহতরা হলেন- হান্নান, পল্লী চিকিৎসক শরিফ, ইলমান হোসেন নোমান, আইয়ুব আলী, রবিউল ও সোহাগ। বাকি ৪৩ জন প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা নিয়ে বাড়িতে আছেন।
আহত কৃষক রবিউল ও সোহাগ জানান, বিগত সরকারের আমলে আহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে প্রায় ১ হাজার একর জমি চাষাবাদ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন দুই শতাধিক কৃষক। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর কৃষকরা ভেবেছেন তাদের জমি তারা ফিরে পাবেন। তবে উক্ত জমি আহাম্মদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক কবির মোল্লা, সাংগঠনিক সম্পাদক বাবলু মাষ্টার ও বিএনপি নেতা হোসেন মৌলভী দখলে নেন। অথচ কৃষকরা প্রকৃত জমির মালিক এবং তাদের বৈধ কাগজ পত্র রয়েছে। জমি ফিরে পেতে কৃষকরা তিন নেতাকে কাগজ পত্র নিয়ে বসতে বলেন। ঘটনার দিন বিএনপির ৩ নেতার নেতৃত্বে জমি দখল নিতে আহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চৌকিদার খাল বাজারে কৃষকদের ওপর অতর্কিত হামলা করা হয়। এতে অন্তত ৫০ জন কৃষক আহত হন। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা নিচ্ছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পল্লী চিকিৎসক শরিফ জানান, বিএনপির ৩ নেতা শনিবার সকালে চৌকিদার খাল বাজারে এসে অসহায় কৃষকদের ওপর অতর্কিত হামলা করেন। এই সময় আমি দোকানে বসে আমার মুঠোফোন হাতে নিয়ে দাঁড়িয়েছি। আমি তাদের মারধরের চিত্র ধারন করছি এমনটা ভেবে তারা আমার ওপর হামলা করে। এতে আমার বাম হাত ভেঙ্গে যায়। এবং আমার ব্যবহৃত ফোনটি নিয়ে যায়।
ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক কবির মোল্লা, সাংগঠনিক সম্পাদক বাবলু মাষ্টার ও বিএনপি নেতা হোসেন মৌলভী বলেন, আমরা জমি লগ্নি নিয়ে চাষাবাদ করছি। জমির কাগজ পত্র নিয়ে বসেছি ঠিকই তবে কে কারা হামলা করেছে বিষয়টি আমরা জানিনা।
দুলারহাট থানার ওসি আরিফ ইফতেখার বলেন, এই বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।