4:40 pm , May 22, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল মেরিন একাডেমি প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন স্থানীয় এমদাদুল হক সুরুজ মোল্লাসহ তিন জনের কাছ থেকে ১৩ শতাংশ জমি দুই ব্যক্তি বরিশাল সদর সাব রেজিস্ট্রারের কার্যালয় থেকে দলিলমূলে ক্রয় করার পর এখন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এমন অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বাকেরগঞ্জ উপজেলার ভরপাশা গ্রামের রব মল্লিকের ছেলে মিজানুর রহমান মল্লিক এবং বানাড়ীপাড়া উপজেলার শাহজাহান মিয়ার ছেলে জালিস মাহামুদ। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি (বিআরইউ) কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
লিখিত বক্তব্যে মিজানুর রহমান মল্লিক বলেন, ২০১১ সালের ২৬ ডিসেম্বর তিনজন দাতার কাছ থেকে মোট ৫ লাখ ২০ হাজার টাকায় ৮ শতাংশ জমি ক্রয় করি। দাতা তিন জন হলেন- মিজানুর রহমান খান, এমদাদুল হক সুরুজ মোল্লা ও গোলাম মহিউদ্দিন মিল্টন। জমির পুরো টাকা ২ নং দাতা এমদাদুল হক সুরুজ মোল্লা কে বুঝিয়ে দেই এবং ক্রয়কৃত জমিতে আমি একতলা ভবন নির্মাণ করে বসবাস শুরু করি।
পরে ২০১৯ সালে এমদাদুল হক সুরুজ মোল্লা আমাকে অন্য দাগে জমি বিক্রি করার কথা বলে আমার ভোগ দখলে থাকা ৮ শতাংশ জমি থেকে তাড়িয়ে দেয়। পরবর্তীতে ২০২৩ সালের ২৯ মার্চ স্থানীয়ভাবে আমি সহ ২ ও ৩ নং দাতাকে নিয়ে সালিশ মীমাংসা হয়। সর্ব সম্মতিক্রমে সালিশ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় ‘২ মাসের মধ্যে অনলাইনে খাজনাদি পরিশোধের দাখিলা সংগ্রহ করে গ্রহীতাদ্বয়ের বরাবরে সাব কবলা দলিল সম্পাদন ও রেজিস্ট্রি করে দিতে বাধ্য থাকবে। তা নাহলে ৪ শতাংশ জমির মূল্য বাবদ ৮ লাখ টাকা কবলা দলিলের গ্রহীতা মো. মিজানুর রহমান মল্লিক বরাবরে বুঝিয়ে দিবে।
কিন্তু মিজানুর রহমান মল্লিক সালিশ মীমাংসার এই শর্তানুযায়ী এখন পর্যন্ত কিছু বুঝে পায়নি।
লিখিত বক্তব্যে জালিস মাহামুদ বলেন- আমার পিতা শাহজাহান মিয়া ২০১১ সালের ১৪ জুলাই তিনজন দাতার কাছ থেকে মোট ২ লাখ ৬৫ হাজার টাকার অনুকূলে ৫ শতাংশ জমি ক্রয় করে। দাতা তিনজন হলেন- নূরজাহান (পক্ষে আম মোক্তার), সেরাজুল হক হাওলাদার (পক্ষে আম মোক্তার) ও আম মোক্তার এমদাদুল হক মোল্লা।
জমি ক্রয় করার পর প্রথমে ভোগ দখল বুঝিয়ে দেয়া হলেও দিনে দিনে জটিলতা বেড়ে যায়। এএসআই আবুল বাসার রনি দক্ষিণ পার্শ্বে প্রায় ৫ ফুট জমি দেয়াল ভেঙ্গে জোরপূর্বক নিয়ে গেছে। এরপর স্থানীয় পারভেজ মোল্লা, সাইফুল ইসলাম, রেজা মোল্লা, রুবেল হোসেন, সাবু মোল্লা আমার ক্রয়কৃত জমিতে কোন কার্যক্রম করতে দেয় না।