নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যবসায়ীকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়ার ভিডিও ভাইরাল নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যবসায়ীকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়ার ভিডিও ভাইরাল - ajkerparibartan.com
নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যবসায়ীকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়ার ভিডিও ভাইরাল

4:13 pm , May 21, 2025

গৌতম কুমার, স্বরূপকাঠি প্রতিবেদক ॥ নেছারাবাদে জমি দখলের জের ধরে মুকুল কুমার সাধক নামে এক ব্যক্তিকে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে তিন দফায় মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে স্বরূপকাঠি পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী আনিসুজ্জামানের অনুসারীদের বিরুদ্ধে।
১৯ মে সোমবার সন্ধ্যায় স্বরূপকাঠী পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক কাজী আনিসুজ্জামান এর বাহিনী তার দোকানে গিয়ে মুকুলের উপর এ হামলা চালিয়েছে। ২০ মে মঙ্গলবার বিকেলে এ বিষয়টি নিয়ে ৪ মিনিট ১৪ সেকেন্ডের একটি সিসিটিভি ফুটেজ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ভুক্তভোগী মুকুল কুমার সাধক মিডিয়ার সামনে বিএনপি নেতা আনিসুজ্জামানের বিরুদ্ধে কথা বলেন। এর জের ধরে তাকে মারধর করা হয়। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মুকুল কুমার সাধক ২০ মে মঙ্গলবার বিকেলে নেছারাবাদ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে মুকুল সাধক বলেন, ‘আমি পেশায় একজন দর্জি ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য বিক্রেতা। উপজেলার হাসপাতাল সড়কের চিড়ার মিল এলাকায় জমি কিনে বসবাস করি। প্রতিবেশী প্রদীপ কুমার দেবনাথ নামে এক ব্যক্তির সাথে জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। স্বরূপকাঠী পৌর বিএনপির নেতা কাজী আনিসুজ্জামান প্রদীপ দেবনাথের কাছ থেকে পার্শ্ববর্তী একটি জমির বায়না করে। নানা অজুহাতে আমার জমি তিনি দখল নিতে চাচ্ছেন। এ নিয়ে আমাকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছিলেন। বিষয়টি নিয়ে মিডিয়ার সামনে কথা বলেছিলাম। এ কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে কাজী আনিসুজ্জামান ১৯ মে সোমবার সন্ধ্যায় আমার দোকানে এসে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এর কিছুক্ষণ পর অজ্ঞাত তার বাহিনী এসে আমাকে দোকান থেকে বের করে মারধর করে। এভাবে মোট তিনবার আমাকে মারধর করা হয়েছে। পূর্বেও একবার থানায় অভিযোগ দিয়েছি। পুনরায় মঙ্গলবার একটি অভিযোগ দিয়েছি।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা কাজী আনিসুজ্জামান বলেন, ‘মুকুল কুমার সাধক প্রদীপ দেবনাথের জমি দখল করে খাচ্ছিল। আমি ওই জমি ক্রয়ের জন্য বায়না করেছি। তাই তাকে ধরে জিজ্ঞেস করেছি মাত্র। রাজনৈতিকভাবে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য একটি মহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।’
স্বরূপকাঠি পৌর বিএনপির সদস্য সচিব কাজী কামাল হোসেন বলেন, ‘এরকম একটি কথা শুনেছি। তবে যারা জুলুম, চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও মানুষের উপর নির্যাতন করে তারা দলের লোক হতে পারে না। তারা যদি দলের লোক হয়েও থাকে তাহলে কোন ব্যক্তির দায় দল নেবে না।
পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে ভুক্তভোগী মুকুল কুমার সাধকের সাথে আমাদের দলের কোনো নেতাকর্মী যদি অসদাচরণ করে থাকে তাহলে অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নেছারাবাদ থানার অফিসার্স ইনচার্জ বনি আমিন বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT