উপার্জনক্ষম প্রতিবন্ধী মেয়ে খুন ॥ দিশেহারা পরিবার উপার্জনক্ষম প্রতিবন্ধী মেয়ে খুন ॥ দিশেহারা পরিবার - ajkerparibartan.com
উপার্জনক্ষম প্রতিবন্ধী মেয়ে খুন ॥ দিশেহারা পরিবার

4:13 pm , May 21, 2025

তরিকুল ইসলাম, পিরোজপুর প্রতিবেদক ॥ ভান্ডারিয়া উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের উত্তর পৈকখালী গ্রামে একটি হতদরিদ্র পরিবারের তিন মেয়েই প্রতিবন্ধী। দরিদ্র সেলিম হাওলাদার ও রাজিয়া বেগম দম্পতির আশার বাতিঘর ছিলেন বড় মেয়ে রাবেয়া সাবরিন লিখন (২৮)। পরিবারে লিখন ছিল একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্য। বাক প্রতিবন্ধী হয়েও সে টঙ্গীর ?শারীরিক প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্টে (মৈত্রী শিল্প) কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি করে সংসার চালাতেন। বাবা-মায়ের মুখে হাসি ফোটাতে, ছোট দুই প্রতিবন্ধী বোনের ভবিষ্যৎ গড়তে সে ছিল আলোর দিশারি। কিন্তু সেই আলোও নিভে গেল হঠাৎ।
গত ১৯ মে গাজীপুর মহানগরের টঙ্গী গাজীবাড়ি (পুকুরপাড়) এলাকার ভাড়া বাসা থেকে উদ্ধার হয় লিখনের হাত-পা-মুখ বাধা লাশ। তার শরীরে আঘাতের চিহৃই ইঙ্গিত দেয় ভয়াবহ নির্যাতনের। খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোকে স্তব্ধ হয়ে যায় তার নিজ এলাকা ভান্ডারিয়া উপজেলার উত্তর পৈকখালী গ্রাম। কান্নায় ভেঙে পড়েন বাবা-মা। প্রতিবন্ধী দুই বোনের চোখে আতঙ্ক। পরিবারের আয়ের একমাত্র উৎস হারিয়ে তারা এখন পুরোপুরি দিশেহারা।
প্রায় একবছর আগে গাজীপুর মহানগরের টঙ্গী গাজীবাড়ি (পুকুরপাড়) এলাকার গোলাম মোস্তফার বাড়ির দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে সেখানে বসবাস করতো রাবেয়া।
রোববার রাতে লিখন একাই বাসায় ছিলেন। সকাল ৯টার দিকে পাশের ভাড়াটিয়ারা লিখনের কক্ষের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে ওড়না এবং গামছা দিয়ে হাত-পা-মুখ বাধা অবস্থায় বিছানার ওপর লিখনের লাশ দেখতে পান।
নিহত লিখনের মা রাজিয়া বেগম বলেন, আমার বড় মেয়েই একমাত্র ভরসা ছিল সংসারের। ওর বাবা অসুস্থ। চাকরি করে কিছু টাকা রোজগার করতো। সেই টাকাতেই সংসার ও প্রতিবন্ধী দুই মেয়ের লেখাপড়ার খরচ চালাতাম। আমি এখন সর্বহারা।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT