কাউখালীতে দেশি মাছের আকাল কাউখালীতে দেশি মাছের আকাল - ajkerparibartan.com
কাউখালীতে দেশি মাছের আকাল

4:01 pm , May 16, 2025

রিয়াদ মাহমুদ সিকদার, কাউখালী প্রতিবেদক ॥ কাউখালীতে দেশীয় প্রজাতির মাছের চরম আকাল দেখা দিয়েছে। হাটে বাজারে দেশীয় মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। মাছে-ভাতে বাঙালি এই শব্দটি এখন উঠে গেছে। আগে গ্রাম বাংলার সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকার অন্যতম আকর্ষণ ছিল দেশীয় প্রজাতির নানা ধরনের মাছ। সেই দেশীয় প্রজাতির ছোট বড় মাছ এখন সোনার হরিণের পর্যায়ে চলে গেছে। দেশী প্রজাতির মাছের নামটি শুনলেই জিভে পানি আসে।
এক সময় বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ দিন-রাত মাছ শিকার করতো। দেশি মাছের মধ্যে ইলিশ, রুই ,কাতলা, কোরাল, মৃগেল, বোয়াল, চিতল, মাগুর, পাঙ্গাস, শোল, গজার। ছোট মাছের মধ্যে পুটি, টাকি, চিংড়ি, সরপুটি, মলা, ঢেলা, পাবদা, বাইলা, কৈ, খলিশা, টেংরা, শিং মাছ, কাচকিসহ অন্তত ৫০ প্রজাতি আমাদের চাহিদা মিটিয়ে এ অঞ্চলের দেশীয় মাছগুলো দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাতো জেলেরা। দেশীয় মাছের বিলুপ্তির জন্য দায়ী করা হচ্ছে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাব, অবৈধ জালের অবাধ ব্যবহার, পোনা মাছ ধ্বংস, মৎস্য খামার সংলগ্ন জমিতে নিয়ম বহির্ভূভাবে কীটনাশক ও রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার, জলাশয় ভরাট , নদ-নদীর নাব্যতা হ্রাস, জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব, বন্যা, জলাবদ্ধতা, প্রাকৃতিক বিপর্যয়।
মাছ ব্যবসায়ী সাইদুল বলেন, বর্ষাকালে কিছু দেশীয় ছোট-বড় মাছ পাওয়া যায়। বর্ষা শেষ হলে দেশীয় মাছের আকাল শুরু হয়। সারাবছরই দেশী মাছের দাম চড়া থাকে। বাজারের চাহিদার চেয়ে দেশি মাছের সরবরাহ কম থাকে বিধায় দাম অত্যাধিক।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান বলেন, পুকুর, খাল-বিল ভরাটের কারণে দেশি মাছ এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। তাছাড়া কিছু অসাধু মৎস্যজীবিরা প্রশাসনের চোখ এড়িয়ে ছোট মাছ শিকার করছে। নিষিদ্ধ কারেন্ট জালের কারখানা বন্ধ করতে হবে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT