3:44 pm , May 14, 2025

গৌরনদী প্রতিবেদক ॥ গৌরনদী উপজেলার ৭ ইউনিয়ন পরিষদের তালা বুধবার খুলে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
সরিকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফারুক হোসেন মোল্লা বলেন, মঙ্গলবার শত শত লোক অফিসে এসে তালাবদ্ধ করে দেন। বিষয়টি গৌরনদী ইউএনওকে জানালে তিনি তালা খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। কর্মচারীরা স্বভাবিকভাবে অফিস কার্যক্রম চালালেও আমি নিরাপত্তার কারনে পরিষদে যাইনি। খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নুর আলম সেরনিয়াবাত বলেন, বুধবার সকালে প্রশাসনের সহযোগীতায় ও বিএনপির একটি অংশের হস্তক্ষেপে তালা খুলে দেওয়া হয়। স্বাভাবিক কার্যক্রম চললেও আমি পরিষদে যাইনি। বার্থী ইউনিয়ন পরিসদের চেয়ারম্যান ও ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার ফোন ধরেননি। জেলা বিএনপির সদস্য এসএম মনিরুজ্জামান বলেন, চেয়ারম্যানদের অপসারণ চেয়ে আমরা বিক্ষোভ সমাবেশ ও স্মরকলিপি দিয়েছে কিন্তু পরিষদে তালাবদ্ধ করে দেওয়ার সঙ্গে আমরা জড়িত না। দেশে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং নির্বাচন কমিশন থেকে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী ও ইউপি চেয়ারম্যান নিজেরাই প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করার জন্য নিজেদের ভাড়াটে লোকজন দিয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদে তালা দেওয়ার ঘটনার সাথে বিএনপির নেতাকর্মীরা জড়িত নাই। ?জেলা বিএনপির সদস্য ও চাঁদশী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান তাইফুর রহমান কচি বলেন, চাঁদশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ছাত্রদল নেতা হত্যা মামলা থাকায় সে আত্মগোপনে রয়েছে।
বিএনপির নেতাকর্মিরা জানান, গত ৫ আগষ্টের পরে ৯মাস ধরে উপজেলার চাঁদশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম পালিয়ে যাওয়ার কারনে ওই পদটি শূন্য ঘোষনা করে গৌরনদী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে প্রশাসক নিয়োগ দেয় কর্তৃপক্ষ। গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা ইউপি চেয়ারম্যান নুর আলম সেরনিয়াবাত, আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার, সৈকত গুহ পিকলু, আব্দুর রব হাওলাদার, ফারুক হোসেন মোল্লা ও গোলাম হাফি মৃধা বহাল তবিয়তে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। মঙ্গলবার সকালে গৌরনদী উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের একাংশের নেতাকর্মিরা গৌরনদী বাসষ্ট্যান্ড থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ইউএনও কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে করেন। সমাবেশ শেষ হওয়ার পর থেকে ৬ ইউনিয়নে বিক্ষুব্ধরা হামলা চালিয়ে তালাবদ্ধ করেন। এ বিষয় গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিফাত আরা মৌরি বলেন, তালাবদ্ধ পরিষদ খুলে দেওয়াসহ ইতোমধ্যে সকল ইউনিয়ন পরিষদে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিএনপির কতিপয় নেতাকর্মি ইউপি চেয়ারম্যানদের অপসারণ চেয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদে তালাবদ্ধ করা ও সরকারি স্থাপনায় হামলা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড হিসেবে গণ্য করা হবে।