5:01 pm , May 10, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ জাতীয় স্বেচ্ছাসেবী সমাজ কল্যাণ সংস্থার পরিচয়ে চলা নগরীর জাগরনী চক্র ফাউন্ডেশনের নামে গ্রাহক হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। যশোরে প্রধান অফিস রেখে নগরীর সিএন্ডবি রোডে শাখা অফিসের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানের নামে চড়া সুদের ব্যবসা করছে এই ফাউন্ডেশন। ১২, ১৮,২৪, ৩০ এবং সর্বোচ্চ ৩৬ মাসের মেয়াদে দেয়া ঋণে ২৪ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত সুদ নিচ্ছেন তারা। শুধু তাই নয়, নিয়মিত কিস্তি প্রদান করা সত্ত্বেও এরা মেয়াদ শেষের আগেই গ্রাহকদের চাপ, বল ও কৌশল প্রয়োগ করে টাকা আদায় করে নিচ্ছেন। এমনকি কারো কারো কাছ থেকে ঋণ দানের আশ্বাসে নানা ধরনের সুবিধা গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে এই ফাউন্ডেশনে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। জাগরনী চক্র ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী গ্রহকরা।
জাগরনী চক্র ফাউন্ডেশন থেকে ১৮ মাসের মেয়াদে ৯০ হাজার টাকা ঋণ নেয়া রোকসানা বেগম অভিযোগ করে বলেন, সঞ্চয়ী সদস্য হয়ে ২০২৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর ৯০ হাজার টাকার ঋণ গ্রহণ করি। প্রতিমাসে ২৪ শতাংশ সুদ সমেত তাকে ৬ হাজার ৩০ টাকা কিস্তি হিসেবে দিতে হতো। গ্রহণের পর থেকে প্রায় প্রতিমাসে যথা সময়ে কিস্তির অর্থ পরিশোধও করেছি। কিস্তি চলাকালীন বিভিন্ন সময় ঋণদাতা জাগরনী চক্র ফাউন্ডেশনের মাঠ কর্মি শামিম অহেতুক বিরক্ত করা শুরু করে। নিয়ম অনুযায়ী চলতি বছরের জুন মাসে ঋণ পরিশোধের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এপ্রিল মাসেই তা পরিশোধের জন্য মাঠকর্মি শামিম ও শাখা ব্যবস্থাপক শেখ মোশারেফ হোসেন চাপ প্রয়োগ শুরু করেন। সন্ত্রাসী কায়দায় চাপ প্রয়োগ করায় মেয়াদের আগে তা পরিশোধে বাধ্য হই। এছাড়া ঋণ পরিশোধ করলে পুনরায় ঋণ গ্রহনের সুযোগ পওয়ার কথা থাকলেও তারা তা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এভাবে জাগরনী চক্র ফাউন্ডেশনের একাধিক নারী সদস্যের সাথে এমন ঘটনা ঘটেছে।
ভুক্তভোগী লতিফা বেগম বলেন, আমাকে ঋণ দেয়ার নামে নানা ধরনের সুবিধা নেয় জাগরনী চক্র ফাউন্ডেশনের কর্মিরা। এরপর ঋণের ফরম দিয়ে, তাতে জামানত দাতার স্বাক্ষর নিয়ে কোন কারন না দেখিয়ে ঋণদানে অপারগতা প্রকাশ করে। একজন ব্যক্তি বাধ্য না হয়ে এমন ঋণ গ্রহণ করেনা। কিন্তু ঋণ দেয়ার নাম করে তা না দিয়ে ওই ব্যক্তিকে আরও বিপদে ফেলছে এই জাগরনী চক্র ফাউন্ডেশন। এ ধরনের কাজ অনেকটা প্রতারণার শামিল। আমি এ ধরণের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবী জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে জাগরনী চক্র ফাউন্ডেশনের মাঠ কর্মি শামিম এর মুঠোফোনে কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
শাখা ব্যবস্থাপক শেখ মোশারেফ হোসেন ফোন রিসিভ করেননি।