লালমোহন প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের ১০ টাকার সিলেবাস বিক্রি নিয়ে প্রশ্ন! লালমোহন প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের ১০ টাকার সিলেবাস বিক্রি নিয়ে প্রশ্ন! - ajkerparibartan.com
লালমোহন প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের ১০ টাকার সিলেবাস বিক্রি নিয়ে প্রশ্ন!

4:18 pm , May 7, 2025

লালমোহন প্রতিবেদক ॥ লালমোহন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের ১০ টাকার সিলেবাস বিক্রি নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। সদ্য যোগদানকারী শিক্ষা অফিসার শাহে আলম উপজেলার ১১৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির সকল শিক্ষার্থীদের জন্য সিলেবাস ক্রয় করা বাধ্যতামূলক করেছেন। তবে এই সিলেবাস শিক্ষা অফিসার নিজে সরবরাহ করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এজন্য তিনি প্রতি ক্লাস্টারে একজন করে শিক্ষককে দায়িত্ব দিয়েছেন। যারা সিলেবাস শিক্ষা অফিসারের কাছ থেকে নিয়ে তাকে টাকা বুঝিয়ে দেবেন। একই সাথে বুধবার থেকে শুরু হওয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষার গত বছরগুলোর তুলনায় দ্বিগুন দাম নিয়ে প্রশ্নপত্র দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
প্রধান শিক্ষকদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, অতীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা কোন সিলেবাস ছিলো না। সরকার কর্তৃক প্রতিটি বিদ্যালয়ের জন্য বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনা দেওয়া আছে। সেখানে কোন সময় কি পড়ানো হবে তা উল্লেখ আছে। শিক্ষকরা জানান, বছরের মাঝামাঝি সময়ে এই সিলেবাস দেওয়াও যৌক্তিকতা নেই। এরপরও নতুন শিক্ষা অফিসার সকলকে সিলেবাস সংগ্রহ করতে বলছেন। সিলেবাসের ব্যাপারে প্রধান শিক্ষকদের কেউ কেউ দ্বিমত পোষণ করলেও শিক্ষা অফিসার তাদের বুঝিয়ে প্রতিটি বিদ্যালয়ে পাঠিয়েছেন। তবে কোনো কোনো প্রধান শিক্ষক সিলেবাস দেওয়াকে শিক্ষার্থীদের জন্য ভালো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন।
এদিকে বুধবার থেকে শুরু হওয়া পরীক্ষার প্রশ্নপত্র শিক্ষা অফিসার গত বছরের তুলনায় দ্বিগুন দামে সরবরাহ করছেন। গত বছরও গড়ে প্রশ্নপত্র ছিল ৬টা করে। এবার ১ম থেকে ২য় শ্রেণির মাত্র ৩টি প্রশ্নই ৭টাকা, ৩য় থেকে ৫ম শ্রেণির ১সেট প্রশ্নের দাম নিয়েছে ১২ টাকা করে। এবিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শাহে আলম বলেন, সিলেবাস শিক্ষার্থীদের ভালোর জন্যই করা হয়েছে। এটা থাকলে শিক্ষার্থীদের পাঠ সহজ হবে। মাদারীপুর জেলায় এই সিলেবাস রয়েছে বলে জানান তিনি। তবে শিক্ষা বিভাগ থেকে এ ধরণের কোন সিলেবাস দেওয়ার কথা বলা হয়নি বলে তিনি স্বীকার করেন। অন্যদিকে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র এর দাম এবছর বেশি রাখার কারণ প্রসঙ্গে উপজেলা শিক্ষা অফিসার বলেন, এবছর কাগজের দাম বেশি।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT