4:24 pm , May 6, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বাংলাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের যে ছয়টি রেজিষ্ট্রেশনধারী সংগঠন রয়েছে তাদের জোটবদ্ধ সংগঠন “প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য জোট “ সারা বাংলাদেশ ব্যাপী সহকারী শিক্ষকদের ১১গ্রেড প্রদান, প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতি সহ ১০বছর ও ১৬ বছর পুর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তিতে জটিলতা নিরসন এর তিন দফা দাবি আদায়ে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা অনুসারে বরিশাল বিভাগের সকল উপজেলা, জেলা ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এলাকার সহকারী শিক্ষকগন ৫ মে থেকে প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে ১০ টস পর্যন্ত কর্ম বিরতি পালন চলছে।পাশাপাশি মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষার কথা চিন্তা করে পরীক্ষার সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। কর্মসূচি নিয়ে সহকারী শিক্ষক সংগঠন বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজ এর কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী সভাপতি ও ঐক্যজোট শিকক্ষ নেতা মোঃ জহিরুল ইসলাম জাফর কর্মসূচি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন আমি প্রথমে আপনাদের মাধ্যমে বরিশাল বিভাগ সহ সারা বাংলাদেশের শিক্ষকদের যে,তারা সংগঠন ঐক্য জোটের কর্মসূচি নিজেরা অনুধাবন করে নিক অবস্থান থেকে পালন করছেন। স্বাধীনতা উওর বাংলাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জাতি গড়ার কারিগর বলা হলে তারা অবেহিলিত। তাদের চাকুরির অবস্হান তৃতীয় শ্রেনীর মর্যাদায়,আমার প্রশ্ন হল তৃতীয় শ্রেনীর মর্যাদার শিক্ষক দিয়ে ১ ম শ্রেণির মর্যাদার শিশু (নাগরিক) আশাকরা যায়,তারপর ও আমরা জাতির কাছে মান সম্মত প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়নে স্বচেষ্ট রয়েছি। তিনি বলেন কোন প্রেসার নয় বরিশাল বিভাগের সহকারী শিক্ষকগন সারা বাংলাদেশের সাথে তাদের দীর্ঘ দিনের যৌক্তিক দাবি নিজ নিজ জায়গা থেকে অনুধাবন করে স্বইচ্ছায় স্ব সুপুষ্টভাবে পালন করছে।আমি আশাকরি আমাদের পেশার নিয়ন্ত্রণকারী সকল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তাদের সদয় বিবেচনা আনবে।শিক্ষকে আমরা জাতি গড়ার কারিগর বলি, আমরা সেই জায়গায় থাকতে চাই,আমরা চাই সন্মান ও দুবেলা খেয়ে পড়ে আমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে শান্তিতে বসবাস করে আমাদের কাছে জাতির যেটি পাওয়া তা উপহার দিতে।তাই আপনাদের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা বান্ধব নোবেল বিজয়ী বিশ্ব নন্দিত মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা বরাবর অত্যন্ত বিনয়ের সাথে চাওয়া, আপনি অনুগ্রহ পূর্বক আপনার সদর বিবেচনায় আমাদের দাবি এগুলো এনে বাস্তবায়নে একটি দিকনির্দেশনা মুলক সিধান্ত দিন যা আমাদের শিক্ষক সমাজ আজীবন শ্রদ্ধার সহিত মনে রাখে।উল্লেখ্য ৫ ই আগষ্টের পর দেশের এক পরিবর্তনের ধারা যখন আমাদের পরিবর্তন নিয়ে কনসালটেন্ট কমিটি মতামত দিয়েছেন তখন আমরা তাদের অনুরোধ সহ জানাতে চেষ্টা করলাম
প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক পদের গ্রেড ১৯৭৩-১৯৭৭ একই ছিল। এখনও প্রধান শিক্ষকদের আলাদা ভাতা দিয়ে উভয় পদে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন সম্ভব । আমাদের নীতি নির্ধারনী পক্ষ বলছেন যৌক্তিক আপনাদের চাওয়া কিন্তুু সেটা আপাদত করা সম্ভব না। তাই আমাদের শেষ কথা হল তাহলে পুর্বের ন্যায় প্রধান শিক্ষকের পরের ধাপই হোক সহকারী শিক্ষকদের (শিক্ষক) গ্রেড।
কিন্তু দূর্ভাগ্য, ১২তম গ্রেড প্রস্তাব করা হয়েছে। যা আমরা সহকারী শিক্ষকগণ প্রত্যাখ্যান করেছি। সরকারি কর্মচারীদের দৈন্যদশা তুলে ধরার সময় সরকারের লোকেরা প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন গ্রেড তুলে ধরে কথা বলার সময় আমাদের দাবি যোক্তিক বলে মতামত দেন কিন্তুু যখন গ্রেড বাড়ানোর আবেদন জানানো হলো, তখন কনসালটেশন কমিটি সুপারিশ করলো ১২তম গ্রেড। বাড়বে মাত্র ৩০০ টাকা। পরিশেষে বলতে চাই এই দাবি সরকার পক্ষের বাস্তবায়নের তেমন অর্থের প্রয়োজন হবে না কারন সিনিয়র সহকারি শিক্ষকদের ১১ প্রস্তাবনা কাউন্সিলেশন কম কমিটি করেছেন সে ক্ষেএে সিনিয়র বার উঠিয়ে সকলকে ১১গ্রেড করে দিলেই আমরা আপাদত সন্তুষ্ট হব এতে সিনিয়র শিক্ষক নিয়মে বাদ পরা ২২ ও ২৩ সালের শিক্ষকেরা একটি সমতার আওতায় চলে আসবে।সরকার বাহাদুর এর কাছে আমাদের অনুরোধ আপনারা আমাদের বিষয়টি সদয় গুরুত্বের সাথে বিবেচনা এনে মেনে নিন দেখাবেন শিক্ষকদের মান রক্ষা করলে জাতি ঠকবে না বরং আপনারা দেশকে নিয়ে যে স্বপ্ন দেখছেন তা বাস্তবায়নে শিক্ষকরা তাদের করনীয় নিশ্চিত করবে