4:24 pm , May 6, 2025

বিশেষ প্রতিবেদক ॥ নগরীর ৭টি খালের জলস্রোত পুনরুদ্ধারে কঠোর হচ্ছে বরিশাল সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। এজন্য প্রয়োজনে খালের উপর, সীমানায় গড়ে ওঠা সব গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাও ভেঙে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিসিসির প্রশাসক রায়হান কাওছার। মঙ্গলবার সকালে নগরীর ব্রাউনকম্পাউন্ড ও গোরাচাঁদ দাস লেনের ড্রেনেজ ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে এখানের ড্রেন সচল ও পরিষ্কার করতে সমস্যা সৃষ্টি করে এমন সব স্থাপনা ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। এর পর পরই ব্রাউন কম্পাউন্ড, গোরাচাঁদ দাস সড়কের ড্রেনের উপর ও আশেপাশে গড়ে ওঠা সব স্থাপনা ভেঙে সরিয়ে দিতে দেখা গেছে। এতেফুটপাত ব্যবসায়ী ও বাড়ির মালিকরা ক্ষুব্ধ হলেও বেশিরভাগ বেশিরভাগ মানুষ খুশি। স্থানীয়দের দাবী, অপসোনিনের ভিতর দিয়েও চলে গেছে এই ড্রেন। সিটি করপোরেশনের নিজস্ব স্থাপনা রয়েছে সরাসরি ড্রেনের উপরে। এগুলোও সরাতে হবে।
গোরাচাঁদ দাস এলাকার এক বাড়ির মালিক বলেন, বিসিসির প্রশাসক হয়তো জানেন না যে, প্রয়াত মেয়র শওকত হোসেন হিরণ এই খাল ড্রেনে পরিণত করে আশেপাশের বাড়িঘর থেকে জায়গা নিয়ে সড়ক বড় করেছেন। সেসময় ওইসব বাড়ির মালিকদের নিজ নিজ বাড়ির পিছনের খালের জায়গা ব্যবহারের অনুমতি দিয়ে গেছেন। যা আজ পর্যন্ত বলবৎ ছিলো। ড্রেনের উপরে গড়ে ওঠা ব্যবসায়ীরা নিজ থেকেই দোকানপাট সরিয়ে নিয়ে সিটি করপোরেশনের ড্রেজার চলার সুবিধা করে দিয়েছেন।
স্থানীয়রা বলেন, খালের সীমানায় পড়লেও টিনের ঘরগুলোতো ড্রেনের পরিচ্ছন্ন কাজে কোনো সমস্যা তৈরি করেনি। এই জায়গা খালি করে সিটি করপোরেশন কি করবে? এটাতো পরে থেকে নোংরাই হবে। এখান দিয়েতো হাঁটাচলার পথও নেই। পথের উপর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এর কার্যালয় হয়েছে। সেটিতো একেবারে ড্রেনের উপরে হয়েছে।
এ ব্যাপারে উচ্ছেদ কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস বলেন, সিটি করপোরেশনের প্রশাসক রায়হান কাওছার বলেছেন ‘সিটি করপোরেশনের নিজস্ব জায়গায় সিটি করপোরেশনের প্রয়োজনে নিজস্ব যেকোনো স্থাপনা থাকতে পারবে। অন্যকেউ তা দখল করতে পারবে না।
ব্রাউন কম্পাউন্ড ও গোরাচাঁদ এলাকায় ড্রেনের উপর দিয়ে চলে গেছে সিটি করপোরেশনের ১৬ নং ওয়ার্ডের নিজস্ব ওয়ার্ড কার্যালয় এবং অপসোনিন শিল্প কারখানা ভবনও।
উচ্ছেদ অভিযানে অপসোনিন কারখানার দেয়ালও ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে ভিতরে অভিযান চালানোর আগেই ওষুধ কোম্পানীর কর্মকর্তারা খালের সীমানা মুক্ত করে দেওয়ার অঙ্গীকার করেন। এজন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেবে সিটি করপোরেশন। জিলাস্কুলের দেয়াল সংলগ্ন ঘরবাড়িও ভেঙে দেওয়া হবে বলে জানান স্বপন কুমার দাস।
এদিকে নগরীর জেলখানা মোড় থেকে নাজিরের পুল পর্যন্ত ফুটপাতের অবৈধ দোকানপাট ও ঝুঁকিপূর্ণ টংঘরটি এখনো ভাঙা হয়নি। আবার বেলসপার্ক ও চরকাউয়া খেয়াঘাটে গজিয়ে উঠেছে অসংখ্য দোকানপাট। এসব দোকানপাটের কারণে নগরবাসীর পথচলা এখন কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।