3:49 pm , May 5, 2025

মো:জিয়াউদ্দিন বাবু ॥ নিজেকে বরিশাল সিটি মেয়র ঘোষণা চেয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমের করা মামলা খারিজ করেছে আদালত। রোববার বরিশাল সিটি নির্বাচনের ট্রাইব্যুনালের বিচারক সদর সিনিয়র সহকারী জজ মো. হাসিবুল হাসান মামলা খারিজ করে দেন।
আদালতের সেরেস্তারদার সাইফুল আলম বলেন, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে নিজেকে ঘোষনা দেয়ার দাবিতে ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম একটি মামলা ও তামাদী দরখাস্ত করেছিলেন। বিচারক তামাদী আবেদন নামঞ্জুর ও মামলা খারিজ করে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে প্রার্থীর আইনজীবী শেখ আব্দুল্লাহ নাসির বলেন, মামলা চলবে কি চলবে না এ নিয়ে আদেশের জন্য ছিলো। আদালত বলছে মামলার বিষয় তামাদী হয়েছে। এ মামলা গ্রহণ করা যাবে না।
তিনি বলেন, আইনে বলা আছে ৩০ দিনের মধ্যে করতে পারবে। কিন্তু করতেই হবে এটা বলা নেই। তারপরেও আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমরা এ আদেশে সংক্ষুদ্ধ হয়ে আপীল করবো।
গত ১৭ এপ্রিল বরিশাল সিটি নির্বাচনের ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম।
মামলার এজাহারে দাবি করেন, ভোটাররা সঠিকভাবে ভোট দিতে পারলে বাদী ব্যাপক ভোটে জয়লাভ করতেন। এ ঘটনায় ভোটের দিন প্রার্থী নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তার কাছে আবেদন করে আবুল খায়ের আব্দুল্লাহর প্রার্থিতা বাতিলের অনুরোধ করেন। কিন্তু তারা আবেদন গ্রহণ করলেও আওয়ামী লীগের প্রার্থীর ক্ষমতার প্রভাব থাকায় কোনো ‘রিসিভ কপি’ দেননি।
এদিকে ট্রাইব্যুনালের আদেশে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছে ইসলামী আন্দোলন। এতে বলা হয় ‘ নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের আজকের আদেশে আমরা সংক্ষুব্ধ। আইনি ও রাজনৈতিক লড়াই চলবে। ফ্যাসিবাদের আমলে বরিশাল সিটি নির্বাচনে জালিয়াতিপূর্ণ ফলাফল বাতিল করে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীমকে মেয়র ঘোষণার জন্য করা মামলা নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে তামাদি আইনে মামলা খারিজ করা হয়েছে। ফ্যাসিবাদের নির্মমতার শিকার মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম নির্বাচনের দিন যে মাত্রার নৃশংসতার শিকার হয়েছেন এবং তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার যে ভাষায় কথা বলেছিলেন তাতে তৎকালীন চরম বৈরি পরিবেশে মামলা করার মতো সুযোগ ছিলো না। এই সাধারণবোধ থেকে আদালত মামলা গ্রহণ করবেন বলে জাতি আশা করেছিলো। কিন্তু আজকে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল মামলা খারিজ করে দিয়েছে।
এখন আইনী উপায়ে নির্বাচনী আপিল আদালতে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে। ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য এবং ফ্যাসিবাদের পাপমোচনের জন্য ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আইনী ও রাজনৈতিক লড়াই চালিয়ে যাবে’।