3:14 pm , May 2, 2025

কাঠালিয়া প্রতিবেদক ॥ ঝালকাঠির কাঠালিয়ার বটতলা বাজারে পুলিশ পরিচয়ে বসতঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে স বার হাত-পা ও মুখ বেধে লুটপাট-ভাংচুর চালানো হয়েছে। ঘটনাস্থান কাঠালিয়া থানা থেকে এক কিলোমিটার দূরে হলেও আড়াই ঘন্টা পর সেখানে উপস্থিত হন মাত্র ২জন পুলিশ সদস্য। এ ঘটনায় কাঠালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মংচেনলা কথা বলতে রাজি হননি।
গত বৃহস্পতিবার ভোরে কাঠালিয়া সদর ইউনিয়নের আনইলবুনিয়া গ্রামের বটতলা বাজারে হারুন অর রশিদের বসতঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে । ক্ষতিগ্রস্ত হারুন অর রশিদ বলেন, আনইলবুনিয়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে ব্যবসায়ী নাসির খান সরোয়ারের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা রামদা ও দেশীয় অস্ত্রের মুখে আমাকে ও আমার স্ত্রী রোজিনা বেগম, ছেলে মেহেদী, পুত্রবধু লাকী , প্রতিবন্ধী মেয়ে শিরিন আক্তার, সাবরিনা, ফাতেমা, জান্নাতুল মাওয়া কে হাত-পা ও মুখ বেধে কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে ঘরে লুটতারাজ চালায়। এ সময় ৮ ভরি স্বর্ণ, ৫টি মোবাইল ও নগদ ৭৪ হাজার টাকা এবং জমা-জমির দলিলপত্র নিয়ে যায়।
অপরদিকে বাইরে থাকা সন্ত্রাসী বাহিনী বসতঘর সংলগ্ন কাঠালিয়া-আমুয়া সড়কের বটতলা বাজারে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়। এখানে মুদি-মনোহরী, কসমেটিক্স, পোল্ট্রির দোকান, চা-দোকান, কনফেকশনারী সহ ৬টি দোকান ছিলো। এ সময় হামলাকারীরা দোকানে থাকা এক লাখ ৩ হাজার নগদ টাকা, ৫ লাখ টাকার মুদি মালামাল নিয়ে যায়।
হারুন অর রশিদের ছেলে মেহেদী জানান, হামলা ও লুটপাটের সময় আমার আত্মীয়-স্বজনরা খবর পেয়ে জাতীয় পরিসেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে আড়াই ঘন্টা পর পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আমাদের হাত-পা ও মুখের বাধন খুলে দেয়। পরবর্তীতে আমরা একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করি। পুলিশ এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়নি। আমরা ২০০৭ সালে নানার কাছ থেকে ৬ শতাংশ জমি ক্রয় করে দীর্ঘ ২২ বছর ধরে এ জমিতে ঘর তুলে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি।
বটতলা বাজার কমিটির সহ সভাপতি মাঈনুদ্দিন, ব্যবসায়ী ফারুক, আবুল হোসেন ও হৃদয় জানান, এখানে হারুনের ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিলো। রাতে কে বা কারা ভেঙ্গেছে তা আমরা দেখিনি, তবে শুনেছি। দীর্ঘদিন হারুন এখানে ব্যবসা করে আসছে।
এ বিষয়ে নাসির খান সরোয়ারকে মুঠোফোনে বারবার কল দিলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। কাঠালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মংচেনলা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।