3:20 pm , April 30, 2025

বিশেষ প্রতিবেদক ॥ জুলাই আন্দোলনে শহীদ হয়েছন বাবা জসীম উদ্দিন। পটুয়াখালীর দুমকীতে বাবার কবর জিয়ারত করতে এসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়ে মামলা করেন কন্যা লামিয়া। গত ২৬ এপ্রিল আত্মহত্যা করেন ধর্ষিতা মেয়েটি। কেন, কি জন্য লামিয়াকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হয়েছে? কারা তাকে
আত্মহত্যার জন্য প্ররোচনা দিয়েছে? তা খতিয়ে দেখে দোষীদের চিহিৃত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বরিশালে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে মহিলা পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় নগরীর সদর রোডে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন মহিলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহ সাজেদা। এ সময় বক্তারা লামিয়া ধর্ষণের সাথে এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় এনে ফাঁসির দাবি জানান। যাতে করে এ ধরনের ঘটনার আর পুনরাবৃত্তি ঘটাতে কেউ সাহস না পায়।
উল্লেখ্য জুলাই আন্দোলনে ঢাকায় পুলিশের গুলিতে শহীদ পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার জসিম উদ্দিন। তারই মেয়ে লামিয়া (১৭) ন্যায়বিচার বঞ্চিত হয়ে আত্মহত্যা করেন। ২৬ এপ্রিল শনিবার রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শেখেরটেকে ভাড়া বাসায় তাকে গলায় ফাঁসরত ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে, গত ১৮ই মার্চ সন্ধ্যায় পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নে কলেজছাত্রী লামিয়া বাবার কবর জিয়ারত শেষে নিজ বাড়ি থেকে নানা বাড়ি যাওয়ার পথে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়। ধর্ষণের পাশাপাশি ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়।
ঘটনার পরদিন ১৯ মার্চ লামিয়া নিজেই দুমকি থানায় মামলা করেন। অভিযুক্ত সাকিব মুন্সিকে আটক করা হলেও সিফাত মুন্সি পলাতক রয়েছে।
এরপর এই মামলা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিভিন্ন রকম সংবাদ পরিবেশন করা হয়। যার প্রতিবাদ জানিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিতে বাধ্য হন মামলার পিপি আইনজীবী মজিবুর রহমান এবং ওসি জাকির হোসেন। তাদের এই স্ট্যাটাস নিয়েও সংবাদ হয়েছে।