ভারী বৃষ্টিপাতেও জলাবদ্ধতা হয়নি নগরীতে প্রশংসার দাবী রাখেন বিসিসি প্রশাসক ভারী বৃষ্টিপাতেও জলাবদ্ধতা হয়নি নগরীতে প্রশংসার দাবী রাখেন বিসিসি প্রশাসক - ajkerparibartan.com
ভারী বৃষ্টিপাতেও জলাবদ্ধতা হয়নি নগরীতে প্রশংসার দাবী রাখেন বিসিসি প্রশাসক

4:00 pm , April 29, 2025

বিশেষ প্রতিবেদক ॥ এতোদিনে স্বস্তির নিশ্বাস ফিরে পেয়েছে বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকার বাসিন্দারা। গত সোমবার বিকেল পাঁচটা থেকে সারারাত ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার পরও নগরীর চিরচেনা জলাবদ্ধ সড়কগুলোতে এতটুকু জলাবদ্ধতা তৈরি হয়নি। এমনকি সামান্য বৃষ্টিতেই তলিয়ে যাওয়া নবগ্রাম রোডের বটতলা থেকে করিম কুটির পর্যন্ত সড়কের কোথাও জমেনি পানি। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে ২৮ এপ্রিল রাতে বরিশাল নগরীতে ৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। সাধারণত ২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হলেই ডুবে যেত নবগ্রাম রোড। আর এ জন্য বরিশাল সিটি করপোরেশন এর  প্রশাসক রায়হান কাওছারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন নগরবাসী। বটতলা মোড়ের ব্যবসায়ী তসলিম বলেন, আমার বাসা নিউ সার্কুলার রোডে। বৃষ্টি হলেই নগরীর কোথাও পানি না জমলেও নবগ্রাম রোডের বটতলা থেকে করিম কুটির পর্যন্ত সড়কে পানি জমবেই। এটা যেন এ সড়কের নিয়ম ছিলো এতোদিন। গত রাতের বৃষ্টিতে আমরা ধরেই নিয়েছিলাম সকালে হাঁটু পানি পেরিয়ে দোকানে আসতে হবে। কিন্তু সড়কে এসে দেখি কোনো পানি নেই। বিসিসির প্রশাসক তার কথা রেখেছেন।
নবগ্রাম রোডের ব্যবসায়ীরা বলেন, এতোদিন বিসিসির  সবাই বলাবলি করেছে ‘খাল ভরাটের কারণে এ অবস্থা। সাবেক মেয়ররাও বলেছেন যে বাড়িঘর, দোকানপাট ভেঙে পুনরায় খাল পুনরুদ্ধার করা না হলে এ সড়কের জলাবদ্ধতা আর দূর হবেনা। এমনকি কয়েকদিন আগে যখন পরিচ্ছন্ন কর্মীরা কাজ করছিলো তখনও আমরা বলাবলি করেছি এ সড়কের জলাবদ্ধতা আর দূর হবেনা। গত ২৮ এপ্রিল সন্ধ্যা থেকে সারারাত ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। অথচ নবগ্রাম রোডে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়নি। এটা সত্যি আশ্চর্যের বিষয়।  বিসিসির প্রশাসক রায়হান কাওছার নগরীর জলাবদ্ধতা দূর করাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে বাস্তবে রুপ দিয়েছেন।
২৯ এপ্রিল সকালে নগরীর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সেতুর টোলঘরের মোড় সড়কের পশ্চিমপাশ, স্বাধীনতা পার্কের মডেল মসজিদের সামনে এবং ১৩ নং ওয়ার্ড খান সড়কের সৈয়দ মঞ্জিল থেকে চম্পা ভিলা এবং ৪ নং ওয়ার্ড রেডক্রিসেন্ট হাসপাতাল থেকে  বিনাপানি স্কুল পর্যন্ত সড়কে কিছুটা জলাবদ্ধতা চোখে পড়েছে। এরমধ্যে টাউন স্কুল রোডের অবস্থা খুবই খারাপ। এখানে খানাখন্দের কারণে বৃষ্টি হওয়া মাত্রই জলাবদ্ধতা তৈরি হয় বলে জানান বাসিন্দারা। একই অবস্থা ১৩ নং ওয়ার্ডের খান সড়কের। এখানে জলাবদ্ধতা থেকে বাঁচার জন্য বাড়ির মালিকরা একত্রিত হয়ে ইট-পাথরের ময়লা এনে সড়কে ফেলে সড়ক উঁচু করার চেষ্টা করছেন।  স্থানীয় সোহরাব, আমীর ও সৈয়দ মনজিল বলেন, এই সড়কের জন্য আমরা প্রশাসক রায়হান কাওছার এর কাছে গিয়েছিলাম। তিনি এটি করে দেওয়ার আদেশ দিলেও প্রকৌশলী আমাদের ডেকে বলেছেন, ‘এটি এখন করা যাবেনা, বরাদ্দ নেই। যে কারণে নিজেরা আপাতত চলাচলের জন্য বিভিন্ন বাসাবাড়ি থেকে ইট সুরকী, পাথর ইত্যাদি এনে সড়কের খানাখন্দ ভরাটের চেষ্টা করছি। বৃষ্টি হলেই এখানে পানি জমে ও কর্দমাক্ত হয়ে রাতে এশা ও ফজরের নামাজ আদায়ে আমাদের সমস্যা তৈরি করে বলে জানান স্থানীয় আমীর হোসেন।
অন্যদিকে নগরীর সদর রোড, ব্রাউন কম্পাউন্ড, কালু শাহ সড়ক, আদম আলী হাজী সড়কে গতরাতের বৃষ্টিতে কোনো জলাবদ্ধতা তৈরি হয়নি বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা। এজন্য বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রশাসক বিভাগীয় কমিশনার রায়হান কাওছার এর প্রতি  ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন নগরবাসী।
বরিশাল আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপপরিচালক বশির আহমেদ বলেন, গত ২৮ এপ্রিল সন্ধ্যা থেকে ৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT