3:59 pm , April 29, 2025
উজিরপুর প্রতিবেদক ॥ উজিরপুরে মাদরাসা থেকে দাখিল পাস করে নিজেকে এমবিবিএস ডাক্তার দাবী করা রেজাউল করিম কে এক বছরের সাজা দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পরে ২৯ এপ্রিল মঙ্গলবার উপজেলার সাতলা ইউনিয়নের পশ্চিম সাতলা গ্রামের মায়ের দোয়া ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে উজিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ও মাইনুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এর আগে গত ২৭ এপ্রিল ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুমি রাণী মিত্র অভিযান পরিচালনা করেন। ওই সময় বিভিন্ন ধারায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মাদরাসা থেকে দাখিল পাস করা সনদবিহীন রেজাউল করিম নিজেকে একজন এমবিবিএস ডাক্তার দাবী করে দীর্ঘদিন পর্যন্ত পশ্চিম সাতলা গ্রামে অপচিকিৎসা করে আসছেন। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, ভুয়া পরিচয়ে তিনি জটিল সব রোগের চিকিৎসা দেন এবং সার্জারিও করেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক রোগী ও নার্সকে যৌন হয়রানি, মারধর, সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত সহ নানা ধরণের অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়রা আরও অভিযোগ করেন, রেজাউল করিম সুযোগ বুঝে সাংবাদিক পরিচয়, আবার কখনও টেলিভিশন চ্যানেলের মালিক, ঢাকা ও বরিশাল শহর থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকার মালিক-প্রকাশক হিসেবেও পরিচয় দিতেন। সবশেষ তিনি উজিরপুর উপজেলার পশ্চিম সিমান্তবর্তী ও কোটালীপাড়া উপজেলার পূর্ব-দক্ষিণ সীমান্তের পশ্চিম সাতলা গ্রামে গড়ে তোলেন ‘মায়ের দোয়া ক্লিনিক । ওই ক্লিনিকে বসেই বছরের পর বছর ধরে গ্রামগঞ্জের সহজ সরল রোগীদের অপচিকিৎসা করছেন তিনি।সূত্রে জানা যায়, ওই ক্লিনিকে রোগীদের ভর্তির পরে চিকিৎসা প্রদান বা জটিল অপারেশন করার তথ্য ডায়েরি বা রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ করেন না রেজাউল করিম। এতে তার কাজের কোনো প্রমাণ থাকে না। রোগীদেরকেও কোনো প্রমাণপত্র দেওয়া হয় না। এ ছাড়া তার সনদপত্রে লেখা-‘চার্টার অব অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল অব ইন্ডো অ্যালোপ্যাথি অ্যান্ড কমপ্লিমেন্টারি মেডিসিন’। কিন্তু অনুসন্ধান করে এই নামে সনদপত্র প্রদানকারী কোনো প্রতিষ্ঠান পাওয়া যায়নি।উজিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার মাইনুল ইসলাম খান বলেন, তিনি ভারতের একটি সনদপত্র দেখিয়েছেন এর কোনো বৈধতা নেই। তার যেহেতু এমবিবিএসের সনদ নেই তাই তিনি ভুয়া ও অবৈধ। এ জন্য ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদ- প্রদান করা হয়েছে। উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর সালাম বলেন, রেজাউল করিমকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
