4:10 pm , April 28, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নে বৈশাখী মেলা ও সার্কাসের নামে মাসব্যাপী চলছে জুয়া এবং অর্ধ-উলঙ্গ নাচের উৎসব। সেখানে রাত যত গভীর হয় ততই উলঙ্গ হয় নর্তকীরা। জমে ওঠে জুয়ার আসর। রাত ১০টার পরে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসে জুয়ারিরা। নানা ধরনের অসামাজিক কাজের সাথে চলে প্রকাশ্যে মাদক সেবন ও বিক্রি। এমন পরিস্থিতি প্রায় মাস খানেক ধরে চলে আসলেও কেউ বন্ধ করতে পারছিলনা বলে জানাগেছে। কারন জুয়া আর যাত্রা নৃত্যের টাকার ভাগ হতো সকলের মধ্যে। তবে গতকাল এমন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে স্থানীয় মুসল্লিরা পদক্ষেপ নিয়েছে।
সূত্র জানায়, গত এক মাস ধরে বৈশাখী মেলার নামে প্রতিদিন রাত ৮টা থেকে ফজরের আযান পর্যন্ত চলে আসছিলো লাখ লাখ টাকার জুয়া খেলা। স্টেজের অদূরে টিন দিয়ে ঘেরা বিশাল জুয়ার আসরে জুয়ারি ছাড়া সাধারণ দর্শকের প্রবেশ নিষিদ্ধ। সেখানে রাতভর জুয়া খেলে শিশু-কিশোর থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত শতশত জুয়ারি। জুয়া খেলার সাথে পাল্লা দিয়ে চলে মাদক সেবন। নামে বৈশাখী মেলা হলেও সেখানে মেলার লেশমাত্র নেই বলে জানায় সূত্রটি।
সন্ধ্যায় সার্কাসের নামে শারীরিক বিভিন্ন কসরত আর খেলা দেখানো হলেও রাত ১১টার পরে শুরু হয় অর্ধনগ্ন অশ্লীল নৃত্য। ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ৮০০ টাকা দিয়ে টিকেট কেটে অর্ধ-উলঙ্গ নর্তকীদের নাচ উপভোগ করে শিশু, কিশোর, তরুণ-যুবক, বৃদ্ধসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ। বিভিন্ন অশ্লীল গানের সাথে নর্তকীরা নাচতে নাচতে স্টেজেই উলঙ্গ হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে প্রতিনিয়ত।
৮০০ টাকা দিয়ে টিকেট কাটলে স্টেজের একেবারে সামনের সারির চেয়ার বসার সুযোগ দেওয়া হয়। এসব নষ্টামি চলছে প্রকাশ্যে। কিছু দুর্নীতিবাজ পুলিশ, নামধারী সাংবাদিক আর অসৎ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে চলছে এই বেহায়াপনা, অশ্লীলতার এই মহোৎসব বলে অভিযোগ রয়েছে একাধিক। এলাকার সচেতন নাগরীক সমাজের বাসিন্দারা জানান, এমন বেহায়াপনার কারনে নষ্ট হচ্ছে শিশু-কিশোর, তরুণ এবং যুব সমাজ। জুয়ার টাকা জোগাড় করতে এলাকায় চুরির হিড়িক পড়েছে। চলমান এসএসসি পরীক্ষার মধ্যেও থেমে নেই অপসংস্কৃতির এই নোংরা আগ্রাসন। সকল পক্ষকে ম্যানেজ করেই চলছে সগৌরবে। তাই এগুলো বন্ধে সর্বোচ্চ কঠোর ব্যাবস্থা গ্রহনের দাবি জানান তারা।
উজিরপুরের এক যুবদল নেতা (কথিত চেয়ারম্যান) এবং বাবুগঞ্জের স্থানীয় কেদারপুর ইউনিয়নের এক কুখ্যাত জুয়ারি (প্রাক্তন ইউপি মেম্বারের) নেতৃত্বে চলছে চরম অসামাজিক এই নোংরা কান্ডকারখানা বলে জানাগেছে। মাসব্যাপী এই নোংরামি চালানোর প্রশাসনিক অনুমতিও নাকি নিয়ে এসেছে এই সিন্ডিকেট।