4:09 pm , April 28, 2025

আরিফুর রহমান, ববি প্রতিবেদক ॥ রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে প্রবেশ করে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হুমকি দিয়ে রুম থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বের করে রেজিস্ট্রারের কক্ষ সহ অন্যান্য রুম তালাবদ্ধ করে প্রশাসনিক কর্মকান্ড ব্যাহত করার অভিযোগ এনে ১০ শিক্ষার্থীর নামে ও অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) প্রশাসন।সোমবার কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে সহকারী রেজিস্ট্রার (নিরাপত্তা) কেএম সানোয়ার পারভেজ লিটন সাধারণ ডায়েরি করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম।যাদের বিরুদ্ধে ডায়েরি করা হয়েছে তারা হলেন-ইংরেজি বিভাগের রাকিন খান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের নাজমুল ঢালী, লোকপ্রশাসন বিভাগের মোকাব্বেল শেখ, আইন বিভাগের তরিক হোসেন, ইংরেজি বিভাগের মিজানুর রহমান, এনামুল হক, তরিকুল ইসলাম, কোস্টাল স্টাডিজ এন্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের স্বপ্নীল অপূর্ব রকি, রসায়ন বিভাগের রফিক, মার্কেটিং বিভাগের এমডি শিহাব।
এর আগে গত রোববার রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামের অপসারণের দাবিতে কুশপুত্তলিকা দাহ ও কক্ষে তালা দেয় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। চলমান আন্দোলন দমন ও শিক্ষার্থীদের ভয়ভীতি দেখাতে সাধারণ ডায়েরি ( জিডি) করেছেন বলে দাবি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থীরা বলেন, রেজিস্ট্রার ফ্যাসিস্টদের দোসর ও ভোলার মনপুরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। এছাড়া অধ্যাপক ড. মুহসিন উদ্দীনকে গত ১৩ এপ্রিল সিন্ডিকেট সদস্য ও একাডেমিক কাউন্সিল থেকে অব্যাহতি দেয় বিশ্বিবদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তারপর থেকেই অধ্যাপককে স্বপদে রাখার দাবি নিয়ে আন্দোলন করে আসছে একদল শিক্ষার্থী। সেখানে চারদফা দাবি দিয়ে সময়সীমা বেঁধে দেন তাঁরা।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক ও জিডির ৭ নং অভিযুক্ত এমডি শিহাব জানান, যৌক্তিক আন্দোলনকে দমন করতে ও শিক্ষার্থীদের ভয়ভীতি দেখাতে সাধারণ ডায়েরি ( জিডি) করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এমন ঘৃণিত পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানাই।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের যৌক্তিক দাবি নিয়ে আন্দোলন করে আসছি। অধ্যাপক ড. মুহসিন উদ্দীনকে আওয়ামী দোসর আখ্যা দিয়ে সিন্ডিকেট সদস্য থেকে অব্যাহতি দেন উপাচার্য। এমন স্বৈরাচারী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন চালিয়ে আসছি। কিন্তু আন্দোলন দমাতে মামলা করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সদস্য মোশাররফ হোসেন বলেন, হামলা-মামলা দিয়ে শিক্ষার্থীদের দমন করা যাবে না। খুনি হাসিনা যেমন হামলা-মামলা দিয়ে বিরোধী মতকে অন্যায়ভাবে দমন করতে চেয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একই পদ্ধতিতে এগোচ্ছে। শিক্ষার্থীরা এই স্বৈরাচারকে প্রতিরোধ করবে।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ১০ জন শিক্ষার্থীর নামে সাধারণ ডায়েরি ( জিডি) করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সোনিয়া খান সনি বলেন,আমিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছি। তবে আমি এ বিষয়ে কিছু জানিনা। উপাচার্য অধ্যাপক শুচিতা শরমিনকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।