লালমোহনে ব্রিজের উপর সাঁকো দিয়ে পথচারীদের পারাপার লালমোহনে ব্রিজের উপর সাঁকো দিয়ে পথচারীদের পারাপার - ajkerparibartan.com
লালমোহনে ব্রিজের উপর সাঁকো দিয়ে পথচারীদের পারাপার

2:42 pm , April 24, 2025

মোঃ জসিম জনি, লালমোহন প্রতিবেদক ॥ ৩ বছর আগে ধ্বসে পড়া একটি ব্রিজ আজো সংস্কার বা পুণ:নির্মাণ করা হয়নি। ভোলার লালমোহন উপজেলার সদর ইউনিয়নের ফুলবাগিচা রাস্তার মাথা ও চরভূতা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মধ্যবর্তী খালের উপর নির্মিত ব্রিজের উপর এখন সাঁকো দিয়ে পারাপার হচ্ছে পথচারীরা। প্রায় ২০ বছর আগে নির্মাণ করা এই ব্রিজটি দুই ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের স্বপ্ন পূরণ করেছিলো। মোটরসাইকেল, রিকশা ও যে কোন ছোট যানবাহন এই ব্রিজ দিয়ে লালমোহন সদরে আসা-যাওয়া করতো। মালামাল পরিবহনেও সহজ হতো। কিন্তু ২০২৩ সালের মার্চ মাসে ব্রিজটির একটি গার্ডার ধ্বসে পড়ে। নির্মাণের সময় ব্রিজের নিচে ঢালাই পিলার না করে লোহার পাত দিয়ে ঠেকিয়ে রাখা হয়েছিল। ওই পাত সরে গিয়ে জোয়ার-ভাটার টানে ব্রিজের একটি গার্ডার ধ্বসে যায়। এরপর থেকে ব্রিজটি নির্মাণে আর কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি তৎকালীন সময়ে। ৩ বছর ধরে ব্রিজের দুই পাড়ের কয়েক হাজার এলাকাবাসী কষ্ট পাচ্ছেন। দুই পাড়ে কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ওইসব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানে আসা যাওয়া করতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। পথচারীদের যাতায়াতের জন্য স্থানীয় উদ্যোগে ব্রিজের উপর সাঁকো তৈরি করা হয়েছে। ওই সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে পথচারীরা। স্কুলের শিক্ষার্থীদের এই সাঁকো পার হতে গিয়ে একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে বলেও জানান তারা। মানুষ কোন রকম ব্রিজ পার হলেও যানবাহন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ। ফলে মালামাল নিয়ে দীর্ঘ পথ ঘুরে যানবাহন নিয়ে যেতে হয়। সেখানকার দক্ষিণ লালমোহন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক েেহলাল উদ্দিন জানান, ব্রিজের দুই পাড়ে দুইটি ইউনিয়ন। দুই পাড়েই ৭-৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের যাতায়াত করতে হয়। এ পর্যন্ত কয়েকজন শিশু পার হতে গিয়ে খালে পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে তারা মারাত্মক আহতও হয়। স্থানীয় বাসিন্দা কবির মাতাব্বর বলেন, ব্রিজ আছে, কিন্তু ব্রিজের উপর সাঁকো! বিগত সরকারের সময়ে এই ব্রিজটি করতে পারলো না; এটা দুই ইউনিয়নের জন্য লজ্জাজনক। মানুষ যানবাহন নিয়ে তো দূরের কথা, স্বাভাবিকভাবেই পর হতে পারে না। অনেক পথ ঘুরে মালামাল আনা নেওয়া করতে হয়। উপজেলা এলজিইডি থেকে কয়েকবার ব্রিজ এর মেজরম্যান্ট করে নিলেও কোন কাজ হয়নি। দ্রুত সময়ে এখানে নতুন ব্রিজ নির্মাণের দাবি স্থানীয়দের।
এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা প্রকৌশলী রাজিব সাহা বলেন, ব্রিজটি নতুনভাবে নির্মাণের জন্য প্রস্তাব পাঠানো আছে। লালমোহনের আরো কয়েকটি ব্রিজেরও একই অবস্থা। সবগুলোই নতুনভাবে করার জন্য প্রজেক্ট পাঠানো হয়েছে। আপাতত প্রজেক্ট অনুমোদন হচ্ছে না। অনুমোদন হলেই কাজ শুরু হবে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT